রাইসেন ও সাগর (মধ্যপ্রদেশ): দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি, ওবিসি নেতা অল্পেশ ঠাকুর, নিজেকে ধরে 'আমরা তিনজনই গুজরাতের মতো মধ্যপ্রদেশেও সমানভাবে কাজ করতে' তৈরি বলে জানালেন হার্দিক পটেল।
গুজরাতের পতিদার অমানত সমিতির নেতা হার্দিক মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সমাজে বিভাজনের চেষ্টায় রত ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলিকে তিনি রুখতে চান।

মধ্যপ্রেদেশে বিধানসভা ভোট বছর শেষেই। হার্দিক বলেছেন, পশ্চাত্পদ সম্প্রদায়ের জন্য একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এসেছি। কংগ্রেস আমার সমর্থন চাইলে আমি দিতে রাজি। আগামী ভোট সামনে রেখে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদে কাউকে প্রজেক্ট করা উচিত। জিগনেশ, অল্পেশ আর আমি, তিনজনই গুজরাতের মতো মধ্যপ্রদেশে নামতে রাজি। যে ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলি সমাজে বিভাজন ঘটাতে, সংবিধানের মৌলিক ধারণাকে বানচাল করতে তত্পর, তাদের বিরুদ্ধেই লড়ছি। সকলের সাম্য সুনিশ্চিত করতে চাই।

নোট বাতিল একটা বড় কেলেঙ্কারি বলে দাবি করে বিজেপি টাকা, বাহুবলের জোরেই ভোটে জিতছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সাগর জেলার গারহাকোটায় এক অনুষ্ঠানেও হার্দিক বিজেপিকে নিশানা করে অভিযোগ করেন, নর্মদা সংরক্ষণ কর্মসূচিতে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে, পাছে তা বাইরে বেরিয়ে পড়ে, সেই ভয়েই বিজেপি কয়েকজন ধর্মগুরুকে খুশি করতে তাদের রাষ্ট্রমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে।

তাঁর ওপর উজ্জ্বয়িনীতে এক হোটেলে কালি ছোঁড়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হার্দিক বলেন, কালি ছুঁড়ে মারা লোকটি হয়তো কোনও বিজেপি নেতার অন্ধ ভক্ত। তবে আমি ওকে মাফ করে দিয়েছি।
হার্দিক এই অভিযোগও করেন যে, বিজেপি নিজেদের সদর কার্যালয় গড়তে ১২০০ কোটি টাকা খরচ করেছে, কিন্তু ১৯৯২ সাল থেকে অযোধ্যায় বিরাট মন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও ভগবান রামকে কিন্তু সেখানে অস্থায়ী রামলালার মন্দিরেই ফেলে রেখেছে!