নয়াদিল্লি: ৫০০ ও ১,০০০-এর পুরনো নোট ২৪ তারিখ পর্যন্ত নেওয়া হবে সরকারি হাসপাতাল, পেট্রোল পাম্প, রেলের টিকিট কাউন্টার ও টোল বুথের মত বিভিন্ন জায়গায়। এছাডাও সব সরকারি বেসরকারি ওষুধের দোকান, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নেবে এই নোট। এটিএম থেকে টাকা তুললে মকুব করা হবে চার্জ। কেন্দ্র চেষ্টা করছে, সবকটি চ্যানেলকে সক্রিয় করে তুলতে, যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে যায়। জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব শক্তিকান্ত দাস। এ জন্য ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা দিনে যতবার খুশি টাকা তুলতে পারবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।


নোট বাতিলের পর থেকে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা দিনে একবার করেই টাকা তুলতে পারতেন। শেষরাতে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর সেই ঊর্ধ্বসীমা বাতিল করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের কাছে থাকা টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০,০০০ করা হয়েছে।

পাশাপাশি, এটিএমগুলির প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে। সোম বা মঙ্গলবার থেকেই এটিএম থেকে মিলবে ২,০০০ টাকার নোট। বিষয়টি যাতে মসৃণ হয় দেখতে তৈরি হয়েছে টাস্ক ফোর্স। প্রত্যন্ত এলাকার পোস্ট অফিসগুলিতেও টাকার সরবরাহ বাড়ানো হবে, যাতে তা সহজে গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে যায়।

ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা তোলা যাবে মাইক্রো এটিএম থেকে। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হবে মোবাইল এটিএম। অর্থসচিব জানিয়েছেন, নোট বাতিলের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ১৮ কোটি লেনদেন হয়েছে।

ব্যাঙ্কে যে ব্যবসায়ীদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট আছে, তাঁরা কর্মীদের বেতন দিতে সপ্তাহে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।

কেন টাকা পেতে এত অসুবিধে হচ্ছে মানুষের? অর্থসচিবের ব্যাখ্যা, প্রতিটি এটিএমে চারটি করে ট্রে থাকে, সেগুলির মধ্যে তিনটিতে থাকে ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট। সেই ট্রেগুলিতে নতুন করে টাকা ভরা হচ্ছে। নোট বাতিলের পর থেকে শুধু একটি ট্রে ব্যবহারযোগ্য থাকায় সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা।