মেরঠ: বিয়ের দুঘন্টার মধ্যেই বাঘপটের এক তরুণীর জীবন দুঃখজনক মোড় নিল। পাত্রীপক্ষের বাড়ির লোক প্রতিশ্রুতি মতো বিয়েতে সবকিছু দিলেও, গাড়ি দিতে পারেননি। সেই রাগে বিয়ের শুরু থেকেই তরুণীকে খোঁটা দিচ্ছিলেন স্বামী। অবশেষে রাগে বিয়ের দুঘন্টার মধ্যে তাঁকে তিন তালাক দিয়ে দিলেন অভিযুক্ত স্বামী। পরে পাত্রীপক্ষ সমস্ত ঘটনার কথা গ্রাম পঞ্চায়েতে জানালে, পঞ্চায়েত প্রধান পাত্রপক্ষকে ২.২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়াও অভিযুক্ত সেই পাত্রের ওপর আগামী তিনবছর বিয়ে না করার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঘপটের দাহা গ্রামে। পাত্র মহম্মদ আরিফ ভগবানপুরের বাসিন্দা।

তরুণীর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা গৃহস্থালির সমস্ত জিনিষই পাত্রপক্ষের দাবি দাওয়া মতো মিটিয়ে ছিলেন। শুধু গাড়িটি দিতে পারেননি। কিন্তু বিয়ের আসরে এসে গাড়ি না দেখে প্রথম থেকেই তরুণীকে না না ভাবে হেনস্থা শুরু করেন পাত্রপক্ষের পরিবারের লোকজন।

এরপর তরুণীটি বিয়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই কাঁদতে কাঁদতে ফোন করে সব কথা জানায় তাঁর পরিবারকে। তারপরই তরুণীর পরিবারের লোক তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে চলে আসে। এরপর পাত্র ও পাত্রীপক্ষের পরিবার বসে ব্যাপারটা সমাধান করার চেষ্টা করে, কিন্তু পাত্র মহম্মদ আরিফ তাঁর দাবিতে অনড় থাকেন। তবে শেষে বিভিন্ন লোকের চাপাচাপিতে মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে রাজি হলেও, তরুণীটি বেঁকে বসে। তখনই রেগে গিয়ে তরুণ ফোনে মেয়েকে তিন তালাক দিয়ে দেন।