নয়াদিল্লি: এখনও তৈরিই হয়নি। তার আগেই মুকেশ অম্বানির রিলায়েন্সের জিও ইনস্টিটিউটকে ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স হিসেবে স্বীকৃতি দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে, বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, নিজের শিল্পপতি বন্ধুদের এভাবে সুবিধে দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক যে ছটি প্রতিষ্ঠানকে ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স মর্যাদা দিয়েছে সেগুলি হল আইআইটি দিল্লি, আইআইটি বম্বে, আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর, মণিপাল অ্যাকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন, বিটস পিলানি ও জিও ইনস্টিটিউট। আর এই শেষেরটি নিয়েই ভুরু কুঁচকেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস প্রশ্ন করেছে, যে জিও ইনস্টিটিউট এখনও তৈরিই হয়নি, তাকে কী করে আগে থেকে ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স স্বীকৃতি দিল সরকার। তাদের দাবি, মুকেশ ও নীতা অম্বানিকে সুবিধে করে দেওয়ার জন্যই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ।

[embed]https://twitter.com/INCIndia/status/1016334206970941441?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1016334206970941441&ref_url=https%3A%2F%2Fabpnews.abplive.in%2Findia-news%2Freliances-jio-institute-gets-modi-governments-institution-of-eminence-congress-raise-questions-908947[/embed]

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক অবশ্য এই পদক্ষেপের সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের বক্তব্য, ইউজিসি রেগুলেশন ২০১৭-র ৬.১ ধারা অনুযায়ী এই প্রকল্পে সম্পূর্ণ নতুন প্রতিষ্ঠানকেও সামিল করা যেতে পারে। এর উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক স্তরের শিক্ষা পরিকাঠামো তৈরি করতে উৎসাহ দেওয়া, যাতে দেশের উপকার হয়।

নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি গ্রিনফিল্ডে জিও ইনস্টিটিউট জায়গা পেয়েছে বলে তাদের দাবি।



ভারতে ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্তর্জাতিক তালিকায় প্রথম ১০০ বা ২০০-র মধ্যে নেই। ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলিকে পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করবে কেন্দ্র যাতে সেগুলি বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায়।