নয়াদিল্লি: শনিবার অযোধ্যার জমি বিতর্কের সমাধান করল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শনিবার সকালে এক হাজার পয়তাল্লিশ পাতার রায়ে জানায়, বিতর্কিত জমিতেই তৈরি হবে রাম মন্দির। তিন মাসের মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করবে কেন্দ্র। একই সঙ্গে বাবরি ধ্বংসকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র পাঁচ একর জমি দেওয়ার কথাও রায়ে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, বাবরি কাণ্ডের মামলা দ্রুত সম্পন্ন করারও নির্দেশ দিয়েছে পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।


এমন অবস্থায় সব মহলই অযোধ্যা সহ গোটা দেশের শান্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী সব পক্ষের মানুষকে শান্তি ও সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন। রাজ্য ও কেন্দ্র, দুই সরকারই স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে তৎপরতা দেখিয়েছে। অযোধ্যা সহ গোটা উত্তরপ্রদেশে চলছে তল্লাশি, পুলিশি টহল। এমন অবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের স্মরণাপন্ন হলেন ধর্মীয় নেতারা। যোগগুরু রামদেব, মেহমুদ মাদানির মতো নেতারা ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। উভয়ই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে সূত্রের খবর।





স্বামী পরমাত্মানন্দ জানিয়েছেন, ডোভালের বাসগৃহেই হয়েছে সেই বৈঠক। দেশের শান্তি বজায় রাখা নিয়েই ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “রায়ে কার হার হয়েছে, কে জিতেছে এটা দেখার বিষয় নয়। আমরা এই রায় নিয়ে খুশি। আদালত মুসলিমদেরও জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।


সূত্রের খবর, রামদেব, মেহমুদ ছাড়াও ডোভালের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিত নিয়ে আলোচনা করেন হিন্দু ধর্ম আচার্য সভার চেয়ারম্যান অবদেশানন্দ গিরিও।