শ্রীনগর: কাশ্মীর নিয়ে অশান্তির আগুনে ঘৃতাহুতি দিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি লিখে তিনি কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তাঁর দাবি, কাশ্মীর থেকে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, তুলে নিতে হবে আফস্পা বা সেনাবাহিনীর বিশেষ অধিকার আইন। চিঠিতে গিলানি লিখেছেন, জম্মু কাশ্মীরের বিতর্কিত চরিত্র মেনে নিয়ে ভারত যাতে গণভোটের পথে এগোয়, আফস্পা তুলে নেয় ও রাজনৈতিক কারণে জেলবন্দিদের মুক্ত করার মত আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করে, সে জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘ দিল্লিকে চাপ দিক। এর ফলে উপত্যকায় শান্তি ফেরানো সম্ভব।


অশীতিপর গিলানির কথায়, কাশ্মীরে ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ চলছে। গত সপ্তাহে যখন সকলে ইদ উপভোগ করছিলেন, তখনই তাঁদের ভারতীয় সেনার নেতৃত্বে তাঁদের ওপর নেমে আসে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’। এতে এখনও পর্যন্ত ৪০-এর বেশি মৃত্যু হয়েছে, আহত ৩৫০০-এর বেশি। নিরাপত্তা বাহিনী পেলেট গান ছোঁড়ায় ১০০-র ওপর মানুষের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্তত ৩৫জন পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। বুরহান ওয়ানির সন্ত্রাসবাদী হওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন গিলানি। তাঁর দাবি, বুরহান একজন জনপ্রিয় ‘প্রতিরোধকারী কম্যান্ডার’ ছিল, তার মৃত্যুতে মানুষ যখন শোকজ্ঞাপন করছিলেন, তখন তা রুখতে নিরাপত্তা বাহিনী তাঁদের ওপর হিংস্রভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সমাজ ও বিশেষত, রাষ্ট্রসঙ্ঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওআইসি সদস্য দেশগুলির সহায়তা চেয়েছেন গিলানি। জঙ্গি সংগঠনগুলির অবাধ কার্যকলাপের পক্ষেও ওকালতি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, যে সব দল কাশ্মীরের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পক্ষে কথা বলে, তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হোক। তাঁর দাবি, ভারত সরকার এইসব দাবি মেনে নিলেই কাশ্মীরে শান্তি ফিরবে।