থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিনস, সিঙ্গাপুর, মায়ানমার, কাম্বোডিয়া, লাওস ও ব্রুনেই। এই ১০টি রাষ্ট্র প্রধান আজ রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারাডে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন। প্যারাড শুরু হয় ১০টি রাষ্ট্রের পতাকার সমাহারে, ভারতীয় সেনার হাতে ছিল এই পতাকা। এই দেশগুলিতে ভারতীয় শিক্ষা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও বাণিজ্যের প্রসার কীভাবে ঘটেছে তা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অমর জওয়ান জ্যোতিতে শহিদ সেনাকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে আইটিবিপি জওয়ানরা -৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় উড়িয়েছেন জাতীয় পতাকা। দেখা যাক সেই ভিডিও
ফ্লাই পাস্টে হেলিকপ্টার থেকে তেরঙা ওড়ায় ভারতীয় বায়ুসেনা। ছিল সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার পতাকা, আসিয়ানের পতাকাও ছিল। এ বছরের প্যারাডের প্রধান আকর্ষণ বিশ্বের একমাত্র সুপারসনিক ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মোস, যা দেশের অন্যতম শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র। ছিল দেশে তৈরি নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্র, আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, দেশীয় রাডার স্বাতী ও অশ্বিনী। ফ্লাই পাস্টে প্রথমবার যোগ দেয় বায়ুসেনার লড়াকু হেলিকপ্টার। এ বছর ফ্লাই পাস্টে যোগ দেয় সব মিলিয়ে ৩৮টি বিমান, যার মধ্যে ২১টি যুদ্ধ বিমান, ১২টি হেলিকপ্টার ও ৪টি পরিবহণ সংক্রান্ত বিমান।
সেনাবাহিনীর মধ্যে ছিল পঞ্জাব রেজিমেন্ট, মরাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রি, ডোগরা ও লাদাখ স্কাউটস। প্যারাডে যোগ দেয় বায়ুসেনা, নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, আইটিবিপি, এসএসবি ও দিল্লি পুলিশ। তবে এবারের আকর্ষণ ছিলেন বিএসএফের মহিলা বাইক আরোহীরা, যাঁরা বাইকের স্টান্ট দেখান।