নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন দেশের বিশেষ কোনও এলাকার আঞ্চলিক পাগড়ি পরে। কখনও তাঁর মাথায় দেখা যায় গেরুয়া বন্ধেজ পাগড়ি, আবার কখনও রাজস্থানী পাগড়ি। এবার তিনি পরেছিলেন গুজরাতের পাগড়ি, তা উপহার দিয়েছে জামনগরের রাজপরিবার।
বিশেষ একটি পাগড়ি পরে দিল্লির রাজপথে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে তিনি আজ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে শহিদসেনা জওয়ানদের উদ্দেশে। তখন তাঁর মাথায় দেখা যায় লাল রঙের ওই পাগড়ি। এটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিয়েছে গুজরাতের জামনগরের রাজপরিবার।
প্রতিবারের মত এবারও প্রধানমন্ত্রী প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তাঁর চিরাচরিত পোশাক কুর্তা, পাজামা ও জ্যাকেট পরে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে গোঁফদাড়ি কাটছেন না তিনি, ফলে পাকা দাড়ি এখন বেশ কিছুটা লম্বা। তার সঙ্গে ছিল রাজপরিবারের উপহার দেওয়া লাল রঙের কাপড়ের বিশেষ ওই পাগড়ি।
দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
গত বছর ৭১তম প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধানমন্ত্রী গেরুয়া রঙের দীর্ঘ একটি বন্ধেজ পাগড়ি পরেন। বন্ধেজ একটি বিশেষ ছাপার কাজ, যা তৈরি হয় মূলত টাই ও ডাই পদ্ধতি ব্যবহার করে। রাজস্থান ও গুজরাতে বন্ধেজের বিপুল প্রচলন আছে। প্রত্যেক স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পাগড়ি একটি বিশেষ আকর্ষণ হয়ে থাকে।
আজ সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে নিয়মমাফিক শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। ডায়াস থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এমনিতে অন্যান্য বছর কুচকাওয়াজ চলে ৯০ মিনিট ধরে কিন্তু এ বছর করোনার জেরে সময় অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। অন্যান্যবার কুচকাওয়াজ শুরু হয় বিজয় চক থেকে, শেষ হয় লাল কেল্লায়, পরিক্রমা করে মোট ৮.২ কিলোমিটার। এবার তা বিজয় চকে শুরু হলেও শেষ হয়েছে আগে, জাতীয় স্টেডিয়ামে। সব মিলিয়ে পরিক্রমা হয়েছে ৩.৩ কিলোমিটারের মত পথ।