নয়াদিল্লি: যুদ্ধে সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য যাঁরা জাতীয় পুরস্কার পেলেন, তাঁদের তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন শহিদ কর্নেল সন্তোষ বাবু. গত বছর জুনে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের আচমকা হামলায় যিনি প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁকে মহাবীর চক্র সম্মান দেওয়া হয়েছে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে সাহসিকতার জন্য দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার। মৃত্যু পরবর্তী সময়ে এই সম্মান পেলেন তিনি।

যুদ্ধকালীন সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য কৃতজ্ঞ দেশ সেনানীদের হাতে যে সব সম্মান তুলে দেয়, সেগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ হল পরমবীর চক্র। এরপর আছে মহাবীর চক্র ও বীর চক্র। শান্তিকালীন বীরত্বের সর্বোচ্চ পুরস্কার অশোক চক্র, কীর্তি চক্র এবং শৌর্য চক্র।

১৬ বিহার রেজিমেন্টের কম্যান্ডিং অফিসার কর্নেল বি সন্তোষ বাবু সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা গালওয়ানে চিনা সেনার আচমকা হামলায় শহিদ হন। আজ যাঁরা সম্মানিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আরও পাঁচজন গালওয়ান কাণ্ডে ভারতের হয়ে লড়েছিলেন, এঁরা হলেন নায়েব সুবেদার নুদুরাম সোরেন, নায়েক দীপক সিংহ, হাবিলদার কে পালানি, হাবিলদার তেজিন্দর সিংহ ও সিপাই গুর্তেজ সিংহ। এঁরা সকলেই ভারতীয় সেনার অপারেশন স্নো লেপার্ডের সঙ্গে যুক্ত। চিনা সেনা গালওয়ানে ভারতীয় ভূখণ্ডে চৌকি তৈরি করলে এঁরা সেখান থেকে তা হঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরই চিনা সেনা লোহার পেরেক লাগানো লাঠি নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায়।

কারা বীরত্বের জন্য সম্মানিত হলেন, দেখে নেওয়া যাক

মহাবীর চক্র

কর্নেল বিকুমাল্লা সন্তোষ বাবু, ১৬ বিহার রেজিমেন্ট (মরণোত্তর)

বীর চক্র

১. নায়েব সুবেদার নুদুরাম সোরেন, ১৬ বিহার রেজিমেন্ট (মরণোত্তর)

২. হাবিলদার কে পালানি, ৮১ এফডি রেজিমেন্ট (মরণোত্তর)

৩. হাবিলদার তেজিন্দর সিংহ, ২ মেডিক্যাল রেজিমেন্ট

৪. দীপক সিংহ, এএমসি, ১৬ বিহার রেজিমেন্ট (মরণোত্তর)

৫. সিপাই গুর্তেজ সিংহ, ৩ পঞ্জাব রেজিমেন্ট (মরণোত্তর)

কীর্তি চক্র

সুবেদার সঞ্জীব কুমার, ৪ প্যারা (এসএফ) (মরণোত্তর)

শৌর্য চক্র

১. মেজর অনুজ সুদ, গার্ডস, ২১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (মরণোত্তর)

২. রাইফেলম্যান প্রণব জ্যোতি দাস, ৬ অসম রাইফেলস

৩. প্যারাট্রুপার সোনম শেরিং তামাং, ৪ প্যারা (এসএফ)