লখনউ: সংশোধিত নাগরিক আইন, নাগরিকপঞ্জিকরণ এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধকরণের প্রতিবাদে উত্তাল দেশ।  আসমুদ্রহিমাচল চলছে বিক্ষোভ। যা কোথাও কোথাও হিংসায় পরিণত হয়েছে।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ গুলিও চালিয়েছে। সেই গুলিতে মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। এতে একদিকে নাগরিক পরিষেবা যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনই ধ্বংস হচ্ছে সরকারি সম্পত্তিও। এই কয়েকদিনে রেল, সড়ক সহ একাধিক সরকারি দফতরই বিশাল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এমন অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার যখন সুর চড়িয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে তখন সুর নরম করে নাগরিক কর্তব্য পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি সম্পত্তি দেখভাল করা শুধু সরকারের কাজ নয়, নাগরিকেরও উচিত তা রক্ষা করা। বড়দিনে উত্তরপ্রদেশের লোকভবনে অটল বিহারী বাজপেয়ীর মূর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসে এই বক্তব্যই রাখলেন নরেন্দ্র মোদি।


তাঁর বক্তব্য, “উত্তরপ্রদেশে যায়া হিংসার ঘটনায় জড়িত ছিলেন, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসে মদত দিয়েছেন, তাঁরা আত্মনীরিক্ষণ করে দেখুন, ঠিক করেছেন কিনা।।” গুজবে প্রভাবিত হয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না করার অনুরোধও করেছেন তিনি। একই সঙ্গে হিংসার মোকাবিলায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ যে ভূমিকা নিয়েছে, তার প্রশংসাও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।


তাঁর কথায়, কেন্দ্র সরকার ৩৭০ ধারা, তিন তালাক, রাম মন্দিরের মতো সমস্যার সমাধান করেছে। এবার পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টিও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদির সাফ বক্তব্য, “ভাল সড়ক, পরিষেবা যেমন আমাদের প্রাপ্য তেমনই তা রক্ষা করাও আমাদের দায়িত্ব। গুণগত শিক্ষা আমাদের অধিকার, একই সঙ্গে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করাও আমাদের দায়িত্ব। সুনিশ্চিত পরিবেশ আমাদের অধিকার, তবে একই সঙ্গে পুলিশের কাজকেও নাগরিক শ্রদ্ধা করবে।”


প্রসঙ্গত, বুধবার উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ে লোকভবনে অটল বিহারী বাজপেয়ীর মূর্তি উন্মোচন করেন তিনি।  একই সঙ্গে বাজপেয়ীর নামে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির জন্য শিলান্যাসও করে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।