মুম্বই: ২৮ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ ঋতুঃস্রাবের বয়সের মধ্যে থাকা মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর থেকে আয়াপ্পা ভক্তদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদে অশান্ত কেরল। সব বয়সের মেয়েদের মন্দিরে প্রবেশের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে শীর্ষ আদালতের রায় মানতে নারাজ তাঁরা। এপর্যন্ত বেশ কয়েকজন মহিলা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে হাতিয়ার করে পাহাড় ঠেলে শবরীমালায় পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও আয়াপ্পা অনুগামীদের প্রবল বিরোধিতা, প্রতিরোধের মুখে মন্দিরে ঢোকার বাসনা অপূর্ণ রেখেই ফিরে আসতে হয়েছে তাঁদের। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বললেন, ধর্মস্থানে প্রার্থনার অধিকার থাকলেই তাকে অপবিত্র করার অধিকার জন্মায় না।




উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, ক্যাবিনেট মন্ত্রী রয়েছি। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারব না। কিন্তু সাধারণ বোধবুদ্ধি এটাই বলে যে, আপনি নিশ্চয়ই ঋতুঃস্রাবের রক্তমাখা ন্যাপকিন নিয়ে বন্ধুর বাড়ি যাবেন না! সুতরাং ঈশ্বরালয়ে যাওয়ার সময়ও তেমনটা করা কি সম্মানের বলে মনে করেন? নিশ্চয়ই নয়। এটাই পার্থক্য। আমার প্রার্থনা করার অধিকার নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু অপবিত্র করার অধিকার নেই। পার্থক্য এটাই এবং তা নিয়ে সম্মান করা উচিত আমাদের।
এখানে এক সম্মেলনে স্মৃতি বলেন, আমি হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি পালন করি, বিয়ে হয়েছে জোরাস্ট্রিয়ানের সঙ্গে। দুই সন্তানই জোরাস্ট্রিয় রীতিনীতি, আচার পালন করবে, এটা আমি সুনিশ্চিত করেছি। ওরা অগ্নি মন্দির গিয়ে প্রার্থনা করতে পারে। স্মৃতি পুরানো অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, আমার সদ্যভূমিষ্ঠ ছেলেকে যখন সেই মন্দিরে নিয়ে যাই, আমি ওকে মন্দিরের প্রবেশ দরজায় স্বামীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকি কারণ আমায় ওখানে দাঁড়িয়ে না থেকে চলে যেতে বলা হয়।