সুপারিশ কার্যকর করতে রাজ্য সরকারকে ৬ সপ্তাহ সময় দিয়েছে তারা। কমিশনের রায়ে বলা হয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওই সময়ের মধ্যেই জানাতে হবে, সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছে কিনা।
কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) বিলাল নাজকি বলেন, ওকে যে নির্যাতন, হয়রানি, হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, সে ব্যাপারে আমার কোনও সংশয় নেই। এর ফলে ওকে যে গভীর মানসিক যন্ত্রণা ভুগতে হয়েছে, তার দাগ হয়তো সারা জীবন ওর মনে থেকে যাবে। এজন্য ওঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত বলে অভিমত কমিশনের।
তবে কমিশনের এহেন রায় পুরোপুরি সুপারিশ, তার রূপায়ণে রাজ্য সরকারের অনুমোদন চাই।
ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর জাস্টিস অ্যান্ড প্রটেকশন অব হিউম্যান রাইটস সংগঠনের চেয়ারম্যান আহসান অন্তুর আাবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশনের এই রায়।
প্রসঙ্গত, ভোটগ্রহণের দিন শ্রীনগরের এক বুথে পাথরবাজ বাহিনীর হাতে সশস্ত্র বাহিনীর লোকজন কার্যত ঘেরাও হয়ে পড়েন। তাদের বাঁচাতেই নাকি দারকে হাতের কাছে পেয়ে সেনার জিপে বেঁধে ফেলার নির্দেশ দেন মেজর লিতুল গগৈ। এ নিয়ে শোরগোল হলেও সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত মেজর গগৈকে 'সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযানে ধারাবাহিক প্রয়াসের' জন্য সাহসিকতার মেডেল দিয়ে পুরস্কৃত করেন।
বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) বিলাল নাজকি জানান, পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে, দারকে সেনার জিপের বনেটে বেঁধে মানব ঢাল করা হয়েছিল। দারের সঙ্গে যে আচরণ হয়েছে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘন ছিল কি ছিল না, তা নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশই নেই। দেশীয়, আন্তর্জাতিক আইনে একজন অপরাধীর সঙ্গেও এমন ব্যবহার করার অধিকার নেই। সভ্য সমাজ মানুষের প্রতি এমন আচরণ মেনে নিতে পারে না। কিন্তু তিনি একইসঙ্গে জানান, কমিশনের 'হাত পা বাঁধা', ১৯৯৩-এর মানবাধিকার সুরক্ষা আইনে সীমিত এক্তিয়ারের ফলে সেনার আচরণ খতিয়ে দেখতে পারে না কমিশন।
এ প্রসঙ্গে আপনার মতামত জানান নীচের কমেন্টস বক্সে