আর এরপরই সমালোচকদের নিন্দার মুখে পড়েন ঋষি। অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, ট্যুইটটি কি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় করেছিলেন ঋষি! অনেকেই মন্তব্য করেন, এ ধরনের ট্যুইট করার আগে দুবার ভাবা উচিত ছিল। কেউ কেউ তাঁকে টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়ারও পরামর্শ দেন।
সমালোচনার মুখে টুইটের সাফাইও দেন ঋষি। নিজের টুইটের সমর্থনে নতুন টুইটে তিনি বলেন, আমি কী এমন ভুল লিখেছি? আমি বলিনি সৌরভ যা করেছেন তা কোনও ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার করবেন। আমি বলেছি, ওই জয়ের পুনরাবৃ্ত্তি হোক। আপনারা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন।
ঋষির এ ধরনের ‘যৌনগন্ধী’ ট্যুইট অবশ্য নতুন কিছু নয়। এছাড়াও গোমাংসে নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে গাঁধী পরিবার সম্পর্কে তাঁর ট্যুইট ঘিরে একাধিকবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
একবার হিলারি ক্লিন্টন সম্পর্কেও ঋষির একটি অভব্য ট্যুইট ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
ক্রিকেটার হানিফ মহম্মদকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ঋষির একটি ট্যুইটের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন নেটিজেনরা। তিনি লিখেছিলেন, ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে রমাকান্ত দেশাইয়ের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে হানিফ মহম্মদকে আউট হতে দেখেছি।
অনেকেই এই ট্যুইটের নিন্দা করে বলেছিলেন, এভাবে কাউকে শ্রদ্ধা জানানো যায় না।
গাঁধী –নেহরু পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন স্থান, রাস্তা, বিমানবন্দরের নামকরণ নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছিলেন ঋষি। তাঁর সেই ট্যুইট ঘিরেও বিতর্ক দেখা দিয়েছিল।
মহারাষ্ট্রে গো মাংসে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এই প্রবীণ অভিনেতা তাঁর মন্তব্যের জন্য সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে বাবা-র এই ট্যুইট বিতর্ক সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে রণবীর কপূর বলেছিলেন, ভাগ্যিস, উনি যখন যুবক ছিলেন তখন ট্যুইটার ছিল না। তা না হলে কী হত, আমি ভাবতেও পারি না।