নয়াদিল্লি: সপ্তাহে ছুটির দিন ট্রেন যাত্রা ঝক্কির হয়ে উঠতে পারে। কারণ, রেলওয়ে দেশের সব কটি জোনে রবিবারগুলিতে বড়সড় রক্ষণাবেক্ষনের কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরফলে কোনও ট্রেন যদি খাওয়ার সময় দেরি করে তাহলে সংরক্ষিত টিকেটের যাত্রীদের নিখরচায় খাবার ও জল সরবরাহ করবে রেল। রেলমন্ত্রী পিযূস গয়াল এ কথা জানিয়েছেন।
আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে টাইম-টেবিল সংশোধনের পর এই রক্ষণাবেক্ষনের কাজ শুরু করা হবে। এরফলে এই কাজের জন্য যে ট্রেনগুলির যাত্রাপথে প্রভাব পড়বে, সেগুলিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
গয়াল জানিয়েছেন, বিভিন্ন জোনে একসঙ্গে রক্ষণাবেক্ষনের কাজ চলবে এবং রবিবারের দিনগুলিতে বেশিরভাগ কাজ করার চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। আগে থেকে জানিয়ে সচেতন করে দেওয়া হবে যাত্রীদের। খাবার সময় কোনও ট্রেনের যাত্রাপথে দেরি হলে যাত্রীদের খাবার ও পানীয় জল নিখরচায় দেওয়া হবে।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ছোটখাটো কাজকর্ম সারা সপ্তাহ জুড়েই চলবে। তবে বড়সড় কাজগুলি করা হবে রবিবারগুলিতে।
গয়াল বলেছেন, রেলের সমস্ত জোনে টাইম-টেবিল এমনভাবে সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে এই রক্ষণাবেক্ষনের কাজ নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী করা যায়।
এরফলে কোনও ট্রেনের যাত্রাপথে দেরি হলে তা যাত্রীদের এসএমএস ও সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
রেলওয়ে জিপিএস লগার্সও চালু করবে। এতে প্রত্যেকটি ট্রেন কোথায় রয়েছে, তা লগ ইন করে জানতে পারবেন যাত্রীরা। এরপর ওই তথ্য রেলের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হবে।
মন্ত্রী বলেছেন, ট্রেন নম্বর টাইপ করে কোনও যাত্রী সংশ্লিষ্ট ট্রেনটি কোথায় রয়েছে, তা জানতে পারবেন।
রেলের কোচ কারখানাগুলির উত্পাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনাও নিয়েছে মন্ত্রক, যাতে রেকের যোগানে কোনও ঘাটতি না পড়ে।
গয়াল বলেছেন, কোনও ট্রেন দেরীতে স্টেশনে ঢুকলেও বাড়তি রেক ওই ট্রেন নির্দিষ্ট সময় মতো ছাড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।