লন্ডনের ১২, ব্রায়ানস্টন স্কোয়ারে ১.৯ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাট কেনায় অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে বঢরার বিরুদ্ধে। বেআইনি অর্থ লেনদেন রোধ আইনে এই মামলার তদন্ত চলছে। গত ১ এপ্রিল নিম্ন আদালত তাঁকে আগাম জামিন দিয়েছিল। তাকে চ্যালেঞ্জ করে ইডি।
তদন্ত সংস্থার বক্তব্য, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না, তাই বঢরাকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। বঢরা জামিনের রক্ষাকবচ থাকলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে, মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। নিম্ন আদালত এটা বোঝেনি যে, তিনি খুবই প্রভাবশালী। মামলায় ওঠা অভিযোগের মুখে বারবার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হলেও বঢরা এড়িয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া নিম্ন আদালতের বিশেষ বিচারক আইনের এই স্বীকৃত অবস্থানও মাথায় রাখেননি যে, ‘রুটিনমাফিক জামিন মঞ্জুর করা’ উচিত নয়।
আগাম জামিন বাতিল চেয়ে ইডি-র আবেদনের ব্যাপারে মামলায় সহ-অভিযুক্ত ও বঢরার স্কাইলাইট হসপিটালিটি এলএলপি মনোজ অরোরার বক্তব্যও জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। ইডি বলেছে, অরোরা বিদেশে হিসাববহির্ভূত সম্পত্তির কথা জানতেন, তিনিই অর্থের জোগান দেওয়ার কারিগর ছিলেন।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে বঢরা ও অরোরা মামলা খারিজের আবেদন করেছেন। দুজনের পৃথক দুটি আবেদনও হাইকোর্টের বিবেচনাধীন রয়েছে।
নিম্ন আদালত বঢরাকে আগাম জামিন মঞ্জুর করে শর্ত দিয়েছিল, আগে থেকে অনুমতি না নিয়ে তিনি দেশ ছাড়তে পারবেন না, তদন্তকারী অফিসার ডাকলেই তাঁকে দেখা করতে হবে।
ইডি-র দাবি, বঢরা নিজেকে অন্যায় ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হিসাবে তুলে ধরে মামলাটি নিয়ে হইচই করার যাবতীয় চেষ্টা করেছেন।