জম্মু: মায়ানমার থেকে তাড়া খেয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢুকে জম্মু ও কাশ্মীরে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে নিয়েছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা। এ কথা জানিয়ে নাগরোটা, সাম্বা ও অন্যান্য স্থানের সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় মায়ানমার থেকে আসা এই উদ্বাস্তুদের যোগসাজশের ইঙ্গিত দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। তাদের বক্তব্য, সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনাগুলি স্থানীয় স্তরে সমর্থন, আস্তানা না থাকলে কিছুতেই হতে পারত না।


রোহিঙ্গারা স্থানীয় মানুষের নিরাপত্তার সামনে বিপদ হয়ে উঠছে বলে সওয়াল করে তাদের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন ভিএইচপি-র রাজ্য শাখার সভাপতি লীলা করণ শর্মা। তিনি বলেছেন, আমরা জম্মুতে ওদের থাকা, বসবাসের বিরোধী। রাজ্য সরকারের উচিত এই বিদেশিদের বের করে দেওয়া। সরকারি বা বেসরকারি জমিতে এদের কলোনি, বসতি  গড়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। এতে জনসাধারণ, সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বিপন্ন হয়ে পড়বে।  শর্মার বক্তব্য, মায়ানমার থেকে আসা উদ্বাস্তুদের গভীর চক্রান্ত আছে। সরকারি  পরিসংখ্যানেই গত বছর ওদের সংখ্যা ছিল ৫৭০০। এখন তা নিশ্চয়ই বেড়েছে।


তাঁর দাবি, জম্মু ও কাশ্মীর সন্ত্রাসবাদের বলি হয়েছে, কাশ্মীর উপত্যকা থেকে হিন্দু  পরিবারগুলিকে জোর করে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে, কিন্তু রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের শিবির করে থাকতে দেওয়া হয়েছে। ওদের রেশন, জল, বিদ্যুত্ সংযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন প্রশাসনের লোকজনই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে  কীভাবে প্রায় গোটা দেশ অতিক্রম করে এই উদ্বাস্তুরা জম্মুতে এসেছে, সেটা বিস্ময়কর, বলেছেন তিনি। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জম্মুর ডিভিশনাল কমিশনারকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান শর্মা।