নয়াদিল্লি: রোহিঙ্গারা জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই তারা এদেশে থাকতে পারবে না। সুপ্রিম কোর্টে এমনই জানিয়ে দিল কেন্দ্র।


দেশ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিতাড়ন নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে। এদিন তারই শুনানিতে কেন্দ্র দাবি করে, রোহিঙ্গারা বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মন্তব্যের মাধ্যমে কেন্দ্র একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিল। তা হল, যেহেতু রোহিঙ্গাদের অবৈধ উদ্বাস্তু দেখানো হচ্ছে, তাই তাদের কোনও সাংবিধানিক অধিকার নেই। ফলত, তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে না।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত সরকারের এহেন মনোভাব নতুন নয়। গত অগাস্ট মাসে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের চিহ্নিত করে বের করে দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র।

গত ৫ তারিখ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়ে দেন, রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্র। সম্প্রতি, জম্মু ও কাশ্মীর পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে রোহিঙ্গাদের জাতীয় বিপদ হিসেবে উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহও জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের উদ্বাস্তু-নীতি রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনি বলেন, কেউ সারাজীবন উদ্বাস্তু হয়ে থাকতে চাইবেন না।

প্রসঙ্গত, ভারতে ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বসবাস করছেন। এঁদের মধ্যে ১৬ হাজারকে উদ্বাস্তু-কার্ড দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। রোহিঙ্গা নিয়ে ভারতের অবস্থানকে তীব্র আক্রমণ করেছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ।

এরমধ্যেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৩ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য ৫৩ টন ত্রাণ-সামগ্রী পাঠিয়েছে ভারত। ঢাকার অনুরোধে এই ত্রাণ-সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে।