চণ্ডীগড়: রোহতকে ২৩ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার শুনানি হবে ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতে। আজ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর খট্টর এই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এক বৈঠকে আজ মন্তব্য করেন, এধরনের জঘন্য অপরাধে যুক্ত অপরাধীদের কোনও ক্ষমা নেই। অপরাধীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।


এরমধ্যে আজই সোনিপতের এক নিম্ন আদালত এই ঘটনায় যুক্ত দুই অভিযুক্তকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। আগামী ২২ মে ফের দুই অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে।

রোহতকের ওই দলিত তরুণী গত ৯ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গত ১১ মে তাঁর পচা, গলা বিকৃত দেহ উদ্ধার হয় রোহতকের আর্বান এস্টেট এলাকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডেল টাউনশিপ থেকে। ধর্ষণের পর তাঁকে খুন করে ফেলে রেখে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর রাস্তার কুকুররা তাঁর মুখ এবং দেহের নিম্নাংশ ছিঁড়ে কুড়ে খায়। এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে হরিয়ানা পুলিশ।

এর আগে ২০১২ সালে রাজধানী দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে এমনই এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থেকে ছিল সারা দেশ। নির্ভয়াকাণ্ডে দিন কয়েক আগেই দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সরকার মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের প্রতিবাদে চালু করে অপারেশন দূর্গা।

রোহতকের ঘটনাতেও আক্রান্তের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গেছে মহিলার গোপনাঙ্গে কিছু শক্ত জিনিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনায় আরও ছজনের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুগ্রামেও সিকিমি তরুণীকে ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী।