নয়াদিল্লি: নীরব মোদী-মেহুল চোকসির পর এবার বিক্রম কোঠারি। এমনই আর একটি জালিয়াতি মামলায় রোটোম্যাক পেনের মালিক বিক্রম কোঠারিকে আজ সিবিআই জেরা করছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, রোটোম্যাকের জালিয়াতির পরিমাণ ৮০০ কোটি নয়, প্রায় ৩,৬৯৫ কোটি টাকা।

এই জালিয়াতির কথা ফাঁস হয় ব্যাঙ্ক অফ বরোদার অভিযোগ নিয়ে। ব্যাঙ্ক অভিযোগ করে, ৮০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েও বিক্রম তা ফেরত দেননি। ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার মামলায় গতকাল সিবিআই কোঠারির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। মামলা দায়ের হয় রোটোম্যাক গ্লোবাল প্রাইভেট লিমিটেড, ডিরেক্টর বিক্রম কোঠারি, স্ত্রী সাধনা কোঠারি এবং পুত্র রাহুল কোঠারির বিরুদ্ধে।

রবিবার ভোর চারটে থেকে শুরু হয় তল্লাশি। আর তা করতে গিয়েই সিবিআই-এর চক্ষু রড়কগাছ! তদন্তকারীরা জানতে পারেন, শুধু ব্যাঙ্ক অফ বরোদা নয়,  ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একইভাবে জালিয়াতি করেছেন কোঠারি। সিবিআই জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক এবং ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স থেকেও ঋণ নিয়েছেন কোঠারি।

সিবিআই-এর অভিযোগ, ওই সাতটি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ২,৯১৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন কোঠারি। সব মিলিয়ে মোট জালিয়াতির পরিমাণ প্রায় ৩,৬৯৫ কোটি টাকা। মামলা দায়ের হওয়ার পরই কানপুরে কোঠারির বাসভবন ও দফতর সহ তিনটি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাশাপাশি, এদিন বাসভবনে গিয়ে বিক্রম কোঠারিকে জেরাও করা হয়। তাঁর স্ত্রী-পুত্রকেও একইসঙ্গে জেরা করছে সিবিআই। তবে কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেনি তারা।

অল্পদিন আগেই হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী ও তাঁর মামা মেহুল চোকসির পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে ১১,৫০০ কোটি টাকার জালিয়াতি সামনে এসেছে। তারপরেই সামনে এসেছে বিক্রম কোঠারির ঘটনা। শোনা যাচ্ছিল, পুলিশের হাত এড়াতে দেশ ছেড়েছেন কোঠারিও। কিন্তু তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কানপুরের বাড়িতেই আছেন তিনি, তাঁর ব্যবসাও চলছে। ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই তিনটি বৈঠক করেছেন বলে তাঁর দাবি।