জানা গেছে, বিক্রম কোটারি পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু বছর পার হয়ে গেলেও সেই ঋণ শোধ হয়নি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল যে, রোটোম্যাক কোম্পানির মালিক বিক্রম কোটারি এখন কোথায় রয়েছেন, সে ব্যাপারে কোনও তথ্যই নেই।
কানপুরের মালরোডের সিটি সেন্টারে রোটোম্যাকের দফতর বেশ কিছুদিন ধরেই বন্ধ। অভিযোগ, নিয়ম কানুনের পরোয়া না করেই বিক্রম কোটারিকে এত বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া হয়েছিল।
বিক্রম কোটারি কে?
পান পরাগের প্রতিষ্ঠাতা এমএম কোটারির ছেলে বিক্রম কোটারি।
বাবার মৃত্যুর পর বিক্রম স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা শুরু করেন।
রোটোম্যাকের নামের কলম, স্টেশনারি ও গ্রিটিংস কার্ডের ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
কয়েক বছরের মধ্যেই রোটোম্যাকের বড়সড় কোম্পানি তৈরি করেন তিনি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী তাঁকে সম্মানিতও করেছিলেন।
অভিযোগ, নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই কোটারিকে এত টাকার ঋণ দেওয়া হয়েছিল। এখন তাঁর কাছ থেকে ঋণ শোধ না হওয়ায় ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা তা আদায়ের চেষ্টা করছেন। ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পিকে অবস্থী বলেছেন, তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে বিক্রম কোটারির ৪৮৫ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে এনসিএনটি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ চলছে। সঙ্গে তাঁর সম্পত্তি বিক্রয়ের প্রস্তুতিও চলছে।
ইলাহাবাদ ব্যাঙ্ক থেকে বিক্রম কোটারি ৩৫২ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার রাজেশ কুমার গুপ্তা ঋণ শোধ না হওয়ায় বিক্রম কোটারির সম্পত্তি বেচে টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।