নয়াদিল্লি: খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিএসএফে খারাপ মানের খাবার দেওয়ার অভিযোগে সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে শোরগোল ফেলে দেওয়া ওই সীমান্তরক্ষী বাহিনীরই জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদবকে। তাঁর স্ত্রীর এহেন অভিযোগ পেয়ে  দিল্লি হাইকোর্ট  কেন্দ্রকে নির্দেশ দিল, ওই জওয়ান যে ব্যারাকে রয়েছেন, সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিতে হবে তাঁর স্ত্রীকে। তিনি ব্য়ারাকে স্বামীর সঙ্গে দুদিন থাকতে পারেন যাতে, সেই অনুমতিও দিতে হবে তাঁকে।


তেজবাহাদুরের স্ত্রী স্বামীকে জোর করে আটকে রাখার দাবি করে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিএসএফ কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু সেই অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, তেজবাহাদুরকে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বায় বাহিনীর অন্য এক ব্যাটালিয়নে বদলি করা হয়েছে, কোথাও জোর করে আটকে রাখা হয়নি।


তেজবাহাদুরের স্ত্রী হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিডি আহমেদ ও বিচারপতি আশুতোষ কুমারের বেঞ্চের কাছে। গত তিনদিন তেজ বাহাদুরের সঙ্গে তাঁর পরিবার যোগাযোগ করতে পারছে না, তাঁকে খুঁজে বের করা হোক,  তাঁর এই আর্জির ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করতে রাজি হয় বেঞ্চ।


তেজবাহাদুরের স্ত্রীর হয়ে সওয়াল করে আইনজীবী মণীশ তেওয়ারি বলেন, ওই জওয়ানের কোনও খোঁজ নেই গত কয়েকদিন ধরে। অতএব আদালক বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। বেঞ্চ বলে, ঠিক আছে। আজই পিটিশনের শুনানি হবে।
গত ৯ জানুয়ারি তেজবাহাদুরের পোস্ট করা ফেসবুক ভিডিওতে দেখা যায়, মিল বাক্সে জলের মতো গড়িয়ে যাচ্ছে ডাল, সঙ্গে পোড়া চাপাটি। ক্ষুব্ধ জওয়ানের দাবি, ওই ডালে শুধু নুন আর হলুদ ছাড়া আর কিছুই নেই। এ ধরনের নিম্ন মানের খাবারই পাকিস্তানের নিকটবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখা সহ নানা জায়গায় কর্তব্যরত জওয়ানদের পরিবেশন করা হয় বাহিনীতে। প্রায়ই তাঁদের আধপেটা খেয়ে ঘুমোতে হয় রাতে। এই অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক জলঘোলা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করা হয় বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে।