নয়াদিল্লি: নাসিকের দেওলালি ক্যান্টনমেন্টে আত্মঘাতী সেনা কর্মী রয় ম্যাথুর ভাই তাঁর এই অকালমৃত্যুর জন্য সংবাদমাধ্যমকে দায়ী করলেন।


মৃতের ভাই জন ম্যাথুর অভিযোগ, সহায়ক প্রথা নিয়ে স্টিং অপারেশন করা ওয়েবসাইটটি রয়কে বলেনি, তিনি বিশ্বাস করে যা বলেছিলেন, তা রেকর্ড করা হচ্ছে, ছবি তুলে নেওয়া হচ্ছে গোপন ক্যামেরায়। সাদা কথায়, তাঁকে প্রতারণা করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ভিডিওতে রয়ের মুখ দেখা না গেলেও তাঁকে যাঁরা চেনেন, তাঁদের কাছে স্পষ্ট, ওই ভিডিওয় তিনিই ছিলেন।

তাঁর অভিযোগ, এই প্রতারণার জেরেই আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হন রয়। তাঁর পরিবার হারাল একমাত্র উপার্জনকারীকে।

জন আরও বলেছেন, স্টিং ভিডিওয় সেনাবাহিনীর পুরনো সহায়ক প্রথা নিয়ে রয়কে কথা বলতে দেখা যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তিনি। ভিডিওয় রয় নাকি অভিযোগ করেন, সহায়কদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন সেনা অফিসাররা। জুতো পরিষ্কার, জামাকাপড় কাচার মত কাজও করানো হয় তাঁদের দিয়ে।

কেরলের কোল্লামের কারুভেলিলের বাসিন্দা রয় ভয় পেয়েছিলেন, তাঁর কোর্ট মার্শাল হবে। আত্মহত্যার আগে তিনি ডায়রিতে লেখেন, কোর্ট মার্শালের মুখোমুখি হওয়ার থেকে মৃত্যু ভাল। ওই লেখাকেই তাঁর সুইসাইড নোট হিসেবে ধরা হচ্ছে। ডায়রিতে নাকি তিনি এ কথাও লিখেছেন, ওই ভিডিওর কণ্ঠস্বর তাঁর নয়।

গত সপ্তাহে নাকি স্ত্রী ফিনিকে ফোনও করেন রয়। বলেন, চাকরিক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে, আশঙ্কা, কাজ খোয়াতে পারেন। এরপর ২৫ তারিখ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।