চেন্নাই: কালো টাকার খোঁজে গতকাল আয়কর বিভাগ তামিলনাড়ুর মুখ্যসচিব পি রামমোহন রাওয়ের বাড়ি ও দফতরে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর ছেলে  ও নিকটাত্মীয়দের ১১ টি ঠিকানায়। তল্লাশি করে ৩০ লক্ষ টাকার নতুন নোট ও ৫ কেজি সোনা মিলেছে বলে আয়কর দফতর সূত্রের খবর।
প্রতিবেশী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরেও রাওয়ের আত্মীয়দের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।
আয়কর আধিকারিকদের দাবি, রাওয়ের ছেলে বিবেক হিসাববহির্ভূত ৫ কোটি টাকা থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির আগে যে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় তাতে দেখা গিয়েছে যে, রাও ও তাঁর ছেলের কাছে ১৬ থেকে ১৭ কোটি টাকা রয়েছে।
গতকাল আয়কর বিভাগ চেন্নাইতে রাওয়ের বাড়ি, তাঁর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠদের বিভিন্ন ঠিকানা এবং রাজ্য সচিবালয়ে তাঁর চেম্বারেও তল্লাশি চালায়।
গত জুন মাসেই তামিলনাড়ুর মুখ্যসচিব পদে এসেছেন রাও। বালি মাফিয়া জে শেখর রেড্ডি ও তাঁর সঙ্গী শ্রীনিবাসুলুর সঙ্গে রাওয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। ডিসেম্বরের শুরুতেই শেখর ও শ্রীনিবাসুলুর বাসভবন ও দফতরে তিন দিন ধরে তল্লাশি চালিয়েছিলেন আয়কর দফতর ও ইডির অফিসাররা। ঠিকানাগুলি থেকে ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়, যার মধ্যে ছিল ২ হাজার টাকার নতুন নোট যার অঙ্ক ৩৪ কোটি। তল্লাশিতে মিলেছিল ১৭৭ কেজি সোনা। নোট বাতিলের পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালিয়েছেন আয়কর অফিসাররা। তবে এখানেই সব থেকে বেশি ধনসম্পদ উদ্ধার হয়।
গত ৯ ডিসেম্বর আয়কর তল্লাশির পর অন্ধ্র সরকার রেড্ডিকে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি) বোর্ডের সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেয়। গত বুধবার সিবিআই রেড্ডি ও তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে।
সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর শীর্ষ আমলা তদন্তে সহযোগিতা করছেন এবং তাঁর ছেলে বিবেকের বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। বিবেকের সঙ্গে রেড্ডির ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ।