গত ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের পর এটাই সবচেয়ে বড় ধরনের নগদ উদ্ধারের ঘটনা। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় অন্তত একজন ব্যাঙ্ক আধিকারিকও যুক্ত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আয়কর আধিকারিক বলেছেন, দুই অভিযুক্ত এত পরিমাণ টাকা কোথা থেকে পেয়েছেন, তা চলছে। বাজেয়াপ্ত অর্থ গুণতে নোট গণনার যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়।
তল্লাশি চালিয়ে সাত কেজি সোনা এবং ছয় কেজি গহনা ছাড়াও একটি দামী গাড়িও পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণার পর সারা দেশেই নগদের অভাব দেখা দিয়েছে। নতুন পাঁচশ ও দুই হাজার টাকার নোটের সরবরাহও পর্যাপ্ত নয়। ফলে ব্যাঙ্ক ও এটিএমগুলি ভিড় চোখে পড়ছে। কালো টাকা উদ্ধারের জন্য নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, অন্যান্য সরাকরি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এই দুই পদস্থ সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জমা অর্থ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় বলে সূত্রের খবর। এরই ভিত্তিতে ওই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। দুজনের কাছে থাকা দামী মোটরবাইক ও গাড়িও সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
জানা গেছে, আয়কর বিভাগ কর্নাটক রাজ্য হাইওয়ে-র চিফ প্রোজেক্ট অফিসার জয়চন্দ্র ও প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত তিন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে হানা দেয়। জয়চন্দ্র তাঁর ছেলের নামে পাঁচ কোটি টাকার একটি ল্যাম্বোরগিনি গাড়ি এবং অন্য আর একটি দাবি গাড়ি কেনেন।
এছাড়াও বেঙ্গালুরুর এক পদস্থ আইএসএস আধিকারিক তথা কাবেরি কমিটির এমডি চিক্করায়াপ্পার বাড়িতেও হানা দেয়। সেখানে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এরমধ্যে ৪৫ কোটি টাকা নতুন নোটে পাওয়া যায়। আয়কর বিভাগ জানতে পেরেছে, অবৈধ উপায়ে পুরানো নোট বদলে ওই নতুনগুলি যোগাড় করা হয়।