এদিন জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিতে গিয়ে মোদী জানান, কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জালনোট রোধে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট বাতিল হচ্ছে। আজ রাত বারোটা থেকেই কার্যকর। মোদীর ঘোষণা, এখন থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকা দিয়ে কোনও লেনদেন নয়।
কিন্তু, যাঁদের কাছে পুরনো ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট রয়েছে, তাঁরা কী করবেন? উপায় বাতলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। জানিয়েছেন, ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো নোট ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে।
মোট ৫০ দিন সময় পাওয়া যাবে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট ব্যাঙ্কে জমা দিয়ে নতুন নোট নেওয়ার। এই সুবিধা আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মিলবে।’
ব্যাঙ্ক পুরনো নোট বদলে নতুন নোট গ্রাহককে দেবে। তবে, এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কে নিয়ে যেতে হবে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড। এই নতুন নিয়ম যাতে সুষ্ঠুভাবে কার্যকর হয়, তার জন্য কাল সমস্ত ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি, কাল ও পরশু কাজ করবে না এটিএম-ও। ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন আমজনতা।
আরও পড়ুন EXCLUSIVE: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২ ঘণ্টা ওয়ার রুমে কাটালেন প্রধানমন্ত্রী
তবে, ‘১১ নভেম্বর পর্যন্ত পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে ছাড় পাওয়া যাবে হাসপাতালে। একইভাবে, ১১ তারিখ পর্যন্ত বাস, ট্রেন, বিমানের টিকিট কাটাতেও পুরনো নোটে ছাড় মিলবে।
এখানেই শেষ নয়, এটিএম-এ টাকা তোলার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ চালু হচ্ছে। এবার থেকে প্রতিদিন এটিএম থেকে ২০০০ টাকার বেশি তোলা যাবে না। একইভাবে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে ১০ হাজার ও সপ্তাহে ২০ হাজারের বেশি টাকা তোলা যাবে না।
‘মোদী বলেছেন, দুর্নীতি রোধ ও কালো টাকা বন্ধে এই পদক্ষেপ আনতে বাধ্য হয়েছে সরকার। এই প্রসঙ্গে তিনি পাকিস্তানের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে এগোচ্ছে ভারত। বিশ্বে ভারত এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাই সীমান্তপারের শত্রু জাল নোট ছড়িয়ে ভারতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। মোদীর প্রশ্ন, সন্ত্রাসবাদীরা এত টাকা পাচ্ছে কোথা থেকে?
মোদী মনে করেন, ‘সন্ত্রাসে এত সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ জরুরি। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, দুর্নীতি রোধ ও কালো টাকা উদ্ধারে কাজ চলছে। কালো টাকা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে।
ফলে, এখন থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট শুধুই কাগজের টুকরো।