নয়াদিল্লি: ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট খুললেন সংগঠনের প্রধান মোহন ভাগবত সহ আরএসএসের শীর্ষ পদাধিকারীরা। ট্যুইটারে খাতা খুললেন তাঁরা। এই দলে ভাগবত ছাড়াও আছেন আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ ‘ভাইয়াজি’ যোশি, তিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সোনি, কৃষ্ণ গোপাল, বি ভাগাইয়া, প্রচার শাখার প্রধান অরুণ কুমার ও আরেক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দেশপান্ডেও। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবালে বেশ কিছুদিন ধরে ট্যুইটারে আছেন। তাঁর অ্যাকাউন্টটি সম্প্রতি খতিয়ে দেখা হয়।
যদিও সঙ্ঘ সূত্রের খবর, সঙ্ঘ নেতারা ট্যুইটার নাও ব্যবহার করতে পারেন, কেননা এই মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট সেই মতামত আদানপ্রদানের জায়গা নয় যেখানে আরএসএস নেতারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করতে চাইবেন।
আরএসএস সূত্রে বলা হয়েছে, সঙ্ঘের পদাধিকারীদের প্যারডি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেই ট্যুইটার অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা সেগুলি সম্ভবত কাজে লাগাবেন না। এ ব্যাপারে সম্প্রতি নতুন ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, এমন নেতাদের একজন বলেন, আমাদের প্রচারকরা অর্থাত সর্বক্ষণের কর্মীরা সবসময়ই জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। ট্যুইটার ব্যবহার না করার আরও একটি কারণ, কখনও কখনও কোনও ট্যুইটকে কেন্দ্র করে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়, যা এড়িয়ে থাকতেই ভালবাসে সঙ্ঘ।
এক শীর্ষ সঙ্ঘ পদাধিকারী বলেন, ওঁরা হয়তো নিয়মিত অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ট্যুইট করবেন না, কিন্তু অন্তত ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ভুল বিবৃতি, তথ্য ছড়িয়ে ওঁদের নামের অপব্যবহার তো ঠেকানো যাবে। আমাদের নজরে এসেছে যে, ভাগবত, সুরেশ যোশী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের নামে অনেক ফেক অ্যাকাউন্ট আছে, যেখান থেকে ভুয়ো পোস্ট করা হয়।
ভাগবতের সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডল হল @DrMohanBhagwat। সেটি ফলো করেছে শুধুমাত্র আটটি অ্যাকাউন্টকে, যেগুলির মধ্যে আছে সঙ্ঘের সরকারি অ্যাকাউন্টটি, বাকিগুলি সাত শীর্ষ পদাধিকারীর। হোসাবালে বাদে আর কেউ এখনও পর্যন্ত ট্যুইট করেননি। তাঁরা পরস্পরকে ও সঙ্ঘের সরকারি অ্যাকাউন্ট ফলো করছেন।
আরএসএসের সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডলের ফলোয়ার ১৩ লক্ষের ওপর। এটাই এপর্যন্ত তাদের বিবৃতি প্রকাশ ও আপডেট দেওয়ার মঞ্চ।