নয়াদিল্লি: আরএসএসের প্রস্তাবিত ইফতার পার্টির ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হল কয়েকজন সমাজকর্মীর আপত্তিতে। সঙ্ঘ পরিবারের বহু প্রতীক্ষিত ওই ইফতারের আসর সোমবার সন্ধ্যায় বসার কথা মুম্বইয়ের মালাবার হিলসের সহাইয়াদ্রি গেস্ট হাউসে। আয়োজক আরএসএসের মুসলিম শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (এমআরএম)। ৩০টি ইসলামি দেশের লোকজনের ওই ইফতারে আসার কথা। অ-মুসলিম নানা সম্প্রদায়ের শখানেক প্রতিনিধিও আমন্ত্রিত।


কিন্তু মুম্বইয়ের দুই সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট আদিল খাতরি ও শাকিল আহমেদ শেখ মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও ও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশকে চিঠি লিখে
বলেছেন, ওই অতিথিশালার ভিতরে কোনও জনসভা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয় না, শুধু সরকারি অনুষ্ঠানের জন্যই জায়গাটা। ওখানে এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ হোক।

সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর, ওই গেস্ট হাউস দেখভালের ভারপ্রাপ্ত প্রটোকল দপ্তর সহ সব সরকারি দপ্তরকে পাঠানো স্টেট জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন দপ্তরের ২০১৫-র জুলাইয়ের এক নির্দেশে বলা আছে, সহাইয়াদ্রি গেস্ট হাউসে যেন কোনও আমজনতার অনুষ্ঠান না হয়, ওখানে সভা, অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে যেন চলা হয়। ওখানকার কনফারেন্স হলে নানা ব্যাপারে আবেদনকারী লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন মন্ত্রীরা।
সমাজকর্মীরা চিঠিতে বলেছেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা আছে যে, শুধু মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরা, রাষ্ট্রমন্তীরা, মুখ্যসচিব, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, সেক্রেটারি ও সম পদমর্যাদার লোকজনই ওখানে বৈঠক, ওয়ার্কশপ, সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন।

কয়েকটি মুসলিম সংগঠন ওই ইফতার বয়কটের ডাক দিয়ে বলেছে, যতক্ষণ না দক্ষিণপন্থী আরএসএস মুসলিম-বিদ্বেষী নীতি পরিত্যাগ করছে, ততক্ষণ মুসলিমরাও এমন অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলুন। ২০১৯-এর ভোটে বিজেপিকে ভোট দিতে মুসলিমদের প্রলুব্ধ করতেই আরএসএস ইফতার বসাচ্ছে। অথচ মুসলিমরা লাভ জেহাদ, গোহত্যার ইস্যুতে সমস্যায় পড়ছে।

যদিও এমআরএমের জাতীয় আহ্বায়ক বিরাগ পাচপোরের দাবি, সংখ্যালঘুদের মনে আরএসএস সম্পর্কে ভুল ধারণা কাটাতেই ইফতার। সত্যি এটাই যে, আরওএসএস দেশের সব সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ছড়াতে চায়।