নয়াদিল্লি: কালো টাকা মজুত এবং জাল নোটের রমরমা রুখতে ৫০০, এক হাজারের নোট বাতিল করছে মোদী সর]কার। তার জায়গায় যে দু’হাজারের নোট আনা হয়েছে, তাও কি দ্রুত বাতিল করা হতে পারে? জল্পনা উস্কে দিলেন আরএসএসের তাত্ত্বিক নেতা এস গুরুমূর্তি। মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যে গুরুমূর্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে সূত্রে খবর, তিনিই সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, পাঁচশো, হাজারের নোট বাতিলের পর বাজারের চাহিদা মেটাতে সেতুু হিসাবে কাজ করেছে ২ হাজারের নোট। ধীরে ধীরে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই দু হাজার টাকার নতুন নোটও বাজার থেকে তুলে নেবে সরকার।
আরএসএস নেতার যুক্তি, নতুন নোট জাল করতে পাঁচ থেকে সাত বছর সময় লাগে। ২ হাজার টাকার নতুন নোট জাল হওয়ার আগে পাঁচ বছরের মধ্যে তা বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে। গুরুমূর্তির দাবি,
একটা সময়ের পর ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হবে, যে সব ২ হাজার টাকার নোট তারা পাচ্ছে, তা যেন গ্রাহকদের ফেরত না দেয়। এতে ব্যাঙ্কে দু’হাজার টাকার নোটগুলি জমা হবে। তারপর, একমাস বা আরও বেশি সময়ের নোটিস দিয়ে সবাইকে বলা হবে, ২০০০ টাকার নোটের বদলে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে যেতে।
আরএসএস নেতার বক্তব্য, এ ভাবে আগেও বিভিন্ন সিরিজের নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তিনি এও দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার চায় কম মূল্যের নোটের দিকে এগোতে।
এই এরএসএস নেতার এও মত, ভারতীয় অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ পাঁচশো টাকার নোট থাকা উচিত। তারপর আড়াইশো এবং ১০০ টাকার নোট।
গুরুমূর্তি এদিন নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে 'আর্থিক দুনিয়ায় পোখরান' বলে উল্লেখ করেন। বলেন, পোখরান বিস্ফোরণ অবিশ্বাস্য় বদল ঘটিয়েছিল। কে ভাবতে পেরেছিল, আমেরিকা ভারতকে গুরুত্ব দেবে? পরমাণু বিস্ফোরণ না ঘটালে ওরা ফিরেও তাকাত না। ঠিক তেমনই অর্থনীতিতেও পোখরান ঘটে গেল। তবে একে বুঝতে, প্রয়োগ করতে, লোককে বোঝাতে একেবারে ভিন্ন মনোভাবের প্রয়োজন।