নয়াদিল্লি: মুসলিম সমাজকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা? তাদের কাছে পৌঁছনোর প্রয়াস? নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত আরএসএসের। আগস্টে নাগপুরে সংগঠনের সদর দপ্তরে ঈদ মিলন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির পরিচালনাকারী সংগঠন। ১৯২৫ সালে তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম একেবারে সদরে এমন কর্মসূচি পালন করছে সঙ্ঘ পরিবার।
সঙ্ঘের মুসলিম শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (এমআরএম) ইফতার পার্টি দেয় দেশের নানা শহরে। আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার রয়েছেন এর নেতৃত্বে। তারা অতীতে দিল্লিতে আন্তর্জাতিক স্তরে ইফতার পার্টির আয়োজনও করেছে।
সূত্রের খবর, এমআরএম কর্মীরা আরএসএস নেতৃত্বকে প্রস্তাব দিয়েছেন, এবছর নাগপুরে রেশম বাগের সদর দপ্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন করা উচিত। তাঁরা নাকি আরএসএস নেতাদের বলেছেন, গত বছর নাগপুরে জামা মসজিদের সামনে ইফতার পার্টি বসেছিল। এবছর রেশম বাগের হেডকোয়ার্টারেও ওই অনুষ্ঠান করা উচিত। দশেরা, অন্যান্য উত্সবেও তো অনেক অনুষ্ঠান হয়। সেই প্রস্তাবে সিলমোহর পড়েছে বলে খবর।
সূত্রটি জানিয়েছে, আরএসএস মুসলিম শাখার সদস্যদের বলে, নাগপুরের সদর কার্য্যালয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করা সম্ভব নয় কেননা সেখানে সঙ্ঘের স্বেচ্ছাসেবকদের তৃতীয় বর্ষের কোর্সের বিশেষ অধিবেশন চলছে। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মুসলিম শাখার কিছু লোক। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, তাদের প্রধান শাখায় ঈদ মিলনের আসর বসবে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে আরএসএসের তত্কালীন প্রধান কে এস সুদর্শনের উদ্যোগে মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ তৈরি হয় যার উদ্দেশ্য ছিল অযোধ্যা রামমন্দির সহ নানা ইস্যুতে মুসলিম সমাজের কাছে পৌঁছানো।