নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদীর  নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে ভারত-রাশিয়া দোস্তি মার খাবে কি শেষ পর্যন্ত? নোট বাতিলের ধাক্কায়  নয়াদিল্লিতে তাদের দূতাবাস পর্যাপ্ত নগদ পাচ্ছে না, ফলে শিকেয় উঠেছে দৈনন্দিন কাজকর্ম, ভারতের বিদেশমন্ত্রককে চিঠি লিখে এই অভিযোগ জানালেন রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার কাদাকিন। চিঠিতে বলা হয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) তাঁদের দূতাবাসকে জানিয়েছে যে, ভারত সরকারের নির্দেশানুসারে প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা তোলা যাবে। একমাত্র রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশ দিলেই এর ব্যতিক্রম হতে পারে, ছাড় মিলতে পারে, নয়তো নয়। এই অর্থ ‘পর্যাপ্ত’ নয় বলে জানিয়ে কাদাকিন চিঠিতে বলেছেন, দূতাবাসের কর্মীদের বেতন, কাজকর্মের খরচ মেটাতে এই সামান্য অর্থে কিছুই হয় না। তাঁরা ওই ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহারে বিদেশমন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চেয়েই ক্ষান্ত  হননি। রাশিয়ার তরফে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে প্রত্যাঘাতের।

রুশ দূতাবাসের জনৈক প্রথম সারির অফিসার বলেছেন, ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি। আশা করছি, দ্রুত সব মিটে যাবে। নয়তো আমাদের অন্য রাস্তা দেখতে হবে। ভারতীয় মন্ত্রী উপদেষ্টাতে তলব করে মস্কোয় আপনাদের দূতাবাসের কাছে বিষয়টা তোলা হতে পারে।  একইসঙ্গে তিনি পাল্টা রাশিয়ায় কর্মসূত্রে থাকা ভারতীয় কূটনীতিকদের নগদ অর্থ তোলার ওপরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন রুশ অফিসারটি।

ঘটনাচক্রে, নয়াদিল্লির রুশ দূতাবাসে কাজ করেন প্রায় ২০০ কর্মী।

রুশ অভিযোগ সম্পর্কে ভারতের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

প্রসঙ্গত, নোট বাতিলের পরিণতিতে রাশিয়াই প্রথম সমস্যায় পড়ার কথা জানাল না। ডিন অব ডিপ্লোম্যাটিক  কর্পস ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রকের কাছে ক্ষোভ জানিয়েছে।  ইউক্রেন, কাজাখস্তানের মতো দেশগুলিও নোট বাতিলের ধাক্কায়  বিপাকে পড়ার কথা বিদেশমন্ত্রককে জানিয়েছে।