নয়াদিল্লি: সময়ের আগেই ভারতের হাতে ভূমি থেকে আকাশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই বিষয়টিকে অত্যন্ত প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানাল রাশিয়া।
স্বাভাবিক নিয়মে এই ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের প্রথম ব্যাচ ভারতের হাতে আসার কথা আগামী বছরের শেষের দিকে। কিন্তু, চিন সীমান্তে সংঘাতের আবহের প্রেক্ষিতে রাশিয়ার কাছ থেকে এই সিস্টেমের হস্তান্তর ত্বরাণ্বিত করতে জোর তদ্বির করে ভারত।
রুশ ডেপুটি চিফ অফ মিশন রোমান বাবুশকিন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তারিখের অদলবদল হচ্ছে না। প্রথম ব্যাচ ২০২১ সালের শেষের দিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে, তা এগিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের পাঁচটি ইউনিট কেনার চুক্তি করে ভারত। এর জন্য প্রথম কিস্তি হিসেবে মস্কোকে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয় নয়াদিল্লি।
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের পাশাপাশি, কামোভ কা-২২৬টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন বাবুশকিন। বলেন, ভারতীয় সেনার জন্য ২০০টি কামোভ কা-২২৬টি কপ্টার যৌথভাবে নির্মাণের চুক্তি করতে উভয় দেশ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।
কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই চুক্তির আগে পারস্পরিক সরবরাহ সহযোগিতা চুক্তি সারা হলেই নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। চুক্তি মোতাবেক, ৬০টি কপ্টার রাশিয়া থেকে একেবারে তৈরি হয়ে ভারতে আসবে। বাকি ১৪০টি প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে তৈরি হবে ভারতেই।
এছাড়া, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একে-২০৩ রাইফেল তৈরি করার চুক্তি করেছে রাশিয়া। উত্তরপ্রদেশে এর জন্য বিশেষ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিও গঠিত হয়েছে। ভারতে ৭ লক্ষের বেশি এই রাইফেল তৈরি হবে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ছাড়াও এই রাইফেল প্রয়োজনে রফতানিও করা যাবে।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য বাড়তি সুখোই সু-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানের বরাতের সম্ভাবনার কথাও উঠে আসে ডেপুটি চিফ অফ মিশনের মুখে। এছাড়া রয়েছে যুদ্ধট্যাঙ্ক, ফ্রিগেট ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের বরাতের বিষয় নিয়েও ভারতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।