গুরুগ্রাম: রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যার অভিযুক্ত একাদশ শ্রেণীর ছাত্রটি প্রদ্যুম্নের পূর্ব পরিচিত ছিল। তাই তার ডাকে স্কুলের বাথরুমে যেতে ছোট ছেলেটি আপত্তি করেনি। এমনটাই জানাচ্ছে সিবিআই।


২ বছর ধরে পিয়ানো ক্লাসে যেত প্রদ্যুম্ন। সেখানেই পিয়ানো শিখত অভিযুক্ত ছাত্রটি। তখন থেকে তাদের আলাপ। ৭ সেপ্টেম্বর স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত তার ব্যাগ নিজের ক্লাসরুমে রেখে দেয়। তারপর স্থানীয় সোহনা মার্কেট থেকে কেনা ছুরি পকেটে করে একতলায় নেমে আসে। প্রদ্যুম্নর সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাকে সে বলে, বাথরুমে গিয়ে তাকে কোনও ব্যাপারে একটু সাহায্য করতে। উঁচু ক্লাসের দাদার কাজে লাগতে পারবে ভেবে এক কথায় রাজি হয়ে যায় ৭ বছরের ছেলেটি। হাঁ ভাইয়া বলে সে চলে যায় বাথরুমে।

কিন্তু এরপর মানসিক চাপে পড়ে যায় অভিযুক্ত ছাত্রটি। চলে যায় স্কুলের মিউজিক রুমে। খানিকক্ষণ সেখানে কাটিয়ে আবার ফিরে আসে বাথরুমে। প্রদ্যুম্ন তখনও তার জন্য অপেক্ষা করছিল। আর দেরি না করে সে তার গলা কেটে দেয়।

তদন্তকারীদের ওই  ছাত্র জানিয়েছে, এরপর প্রদ্যুম্নর মুখ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসে, সে ছুরির ওপর পড়ে যায়, ফলে আরও গভীরভাবে কেটে যায় তার গলা। অভিযুক্তর জামাকাপড়ে রক্ত লাগেনি কারণ প্রদ্যুম্নের পিঠের ব্যাগ ঢালের কাজ করে।

এরপর বাথরুমে কমোডে ছুরি ফেলে দিয়ে ওই ছাত্র ছুটে বেরিয়ে গিয়ে মালি ও শিক্ষকদের ডেকে আনে। জানা গিয়েছে, সে স্বীকার করে নিয়েছে, তার পরীক্ষা ভীতি ছিল, যে কোনওভাবে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে চাইছিল।

ছাত্রটি দাবি করেছে, খুনের আগে সে বহুবার ভাবে নিজের কাজের ফল নিয়ে। তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কেউ এমন করলে তার কেমন লাগবে, ভাবনাচিন্তা করে তা নিয়েও। ইন্টারনেট ঘেঁটে সে নানারকম বিষ নিয়ে পড়াশোনা করে, দেখে, কীভাবে তা মানুষ খুনে ব্যবহার করা যায়। স্কুলের জলের ট্যাঙ্কে বিষ মেশানোর কথাও ভেবেছিল সে। কিন্তু সেই ছক বাতিল করে ৮ তারিখ সে ছুরি পকেটে নিয়ে স্কুলে যায়।

অভিযুক্তকে শনিবার আনা হয় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে। ২২ তারিখ পর্যন্ত অবজার্ভেশন হোমে পাঠানো হয়েছে তাকে। সিবিআই জানিয়েছে, আর তাদের তাকে কিছু জিজ্ঞাস্য নেই।