নয়াদিল্লি: গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পড়ুয়া হওয়া প্রদ্যুম্ন ঠাকুর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। হরিয়ানার মন্ত্রী রাও নরবীর সিংহ সিবিআই তদন্তের আর্জি না জানিয়ে পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন প্রদ্যুম্নর বাবা। মন্ত্রী অবশ্য প্রদ্যুম্নর বাবার এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি শুধু বলেছিলাম, কোনও সরকারই ঘটনার দিন সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করতে পারে না। আমি নিহতের পরিবারকে বলেছিলাম, পুলিশকে এক সপ্তাহ তদন্ত করতে দিন। তাতে আপনারা সন্তুষ্ট না হলে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করব।’

প্রদ্যুম্নকে খুন করার অভিযোগে কিছুদিন আগেই একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই মুখপাত্র অভিষেক দয়াল বলেছেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজের ফরেন্সিক বিশ্লেষণ ও কল রেকর্ড খতিয়ে দেখেই ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই প্রদ্যুম্নকে খুন করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিবিআই আধিকারিক বলেছেন, প্রদ্যুম্ন খুন হওয়ার আগে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র তার সহপাঠীদের বলেছিল, স্কুলে ছুটি পড়ে যাবে। তাই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার দরকার নেই। তার কাছে ছুরিও ছিল। সে মানসিক রোগে ভুগছিল। এক বছর ধরে তার চিকিৎসা চলছিল।

নরবীর অবশ্য সিবিআই-এর এই দাবি মানতে নারাজ। এ মাসের ৯ তারিখ তিনি দাবি করেন, একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র খুন করেছে, এ কথা তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না। সিবিআই-এর তদন্ত নিরপেক্ষ হওয়া উচিত।