কেউ সব্যসাচীকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রতিনিধি বলে সম্মোধন করেন। কেউ আবার বলেন, তাঁর শাড়িগুলোর এত দাম, তাই সবাই শাড়ি ছেড়ে অন্য পোশাক পরছেন। অনেকে আবার মন্তব্য করেন, শাড়ি পরতে পারা বা না পারার সঙ্গে ভারতীয় ঐতিহ্যকে ভালবাসার কোনও সম্পর্ক নেই। নতুন প্রজন্মের অনেকেরই দাবি, শাড়ি পরতে না পারলেও, তাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে যথেষ্ট সম্মান করেন। তবে তারপরও থামেনি আক্রমণের ঝড়।
অনেকেই বলেন, ভারতীয় সমাজে একটি প্রচলিত কথাই আছে, অল্পবয়সি মেয়েরা যদি শাড়ি পরেন তাহলে তাঁদের ‘আন্টি জি’র মতো লাগে। এই ধারণা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মহিলা বাহিনীর প্রশ্ন, এই মানসিকতা বদলাতে তিনি কী করতে চান? তাই অবশেষে সমস্ত বিতর্ক থামাতে তিন পাতার একটি চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছেন সব্যসাচী। সাফাইয়ে তাঁর কথার ভুল মানে করা হয়েছে বললেও, এবার তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, তাঁর এই বিষয় সম্পর্কে ভুল শব্দ চয়ন হয়ে গিয়েছে। তাঁর আরও সতর্ক হয়ে ভাষার ব্যবহার করা উচিত ছিল। প্রসঙ্গত, শাড়ি পরলে বয়স্ক দেখায় এবং পুরনো ফ্যাশনের এই ভাবনাই সবচেয়ে আগে বদলানো দরকার, সেটা বলতে গিয়ে সব্যসাচীর দাবি, তিনি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলেছেন।
তারপর তিনি বলেন, তাঁর ক্রেতারা মূলত মহিলাই এবং নারীদের অসম্মান করার ইচ্ছা তাঁর কোনওভাবেই ছিল না। এমনকি তাঁর ডিজাইনার স্টুডিওতেও প্রধানত মহিলারাই কাজ করেন। অতএব তাঁদের সম্মান করাটাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
রইল সেই তিন পাতার চিঠি