গতকালের বনধের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অসহায় মানুষ, যাঁদের এই বনধ-বিক্ষোভের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তেমন একজন হলেন বিজনৌর থেকে আসা ৬৮ বছরের এক ব্যক্তি। ওই বয়স্ক অসুস্থ ব্যক্তি যাচ্ছিলেন অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে। কিন্তু বিক্ষোভের মধ্যে ফেঁসে যায় তাঁর অ্যাম্বুল্যান্স। তখন ছেলে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে দৌড় লাগালেও, শেষরক্ষা আর হয়নি। মাঝপথেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধের।
সোমবার দেশের বিভিন্ন দলিত সংগঠন গত ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তারই বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল। দেশের শীর্ষ আদালত ২০ মার্চের এক নির্দেশে বলে, তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনে অভিযুক্ত সরকারি কর্মীদের আগাম অনুমতি না নিয়ে গ্রেফতার করা যাবে না, অ-সরকারি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে সঠিক তদন্তের পরই। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই গতকাল উত্তর ভারতের নানা রাজ্যে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিভিন্ন দলিত সংগঠনগুলি। ভারত বনধেরও ডাক দেওয়া হয়। তারমাঝে পড়েই অসহায় ভাবে প্রাণ হারালেন এক বৃদ্ধ, এক সদ্যোজাত সহ আরও অনেকে।
এদিকে আজ পরিস্থিতি থমথমে থাকার জন্যে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে যে সমস্ত জায়গায় বোর্ড পরীক্ষা রয়েছে, সেগুলো আগের মতোই হচ্ছে।