নয়াদিল্লি: ১৯৮৪-র শিখ দাঙ্গা মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের দোষী ঘোষণা ও যাবজ্জীবন কারাবাসের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন সজ্জন কুমারের। শিখ দাঙ্গা মামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের হয়ে মামলা লড়া সিনিয়র অ্যাডভোকেট এইচ এস ফুলকা জানান, তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রির পক্ষ থেকে সজ্জনের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন পেশের কথা বলা হয়েছে। তবে দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তরা ইতিমধ্যেই ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন যাতে একতরফা সজ্জনের বক্তব্য শুনে তাঁর পক্ষে কোনও রায় ঘোষণা করা না হয়।


সোমবার হাইকোর্ট সজ্জনকে ১৯৮৪-র ১ নভেম্বর রাজধানীর দিল্লির একটি গুরুদ্বার জ্বালিয়ে দেওয়া ও রাজ নগরে একটি পরিবারের ৫ জনকে হত্যায় দোষী ঘোষণা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। তাঁকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তবে তিনি আত্মসমর্পণের জন্য আরও এক মাস সময় চান। ৭৩ বছর বয়সি সজ্জন সওয়াল করেন, তাঁর তিন সন্তান, আট নাতি-নাতনী। পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাঁটোয়ারা সংক্রান্ত বিষয়গুলি মেটাতে কিছুটা সময় চান তিনি। যদিও গতকাল সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সজ্জনকে ছাড় দেওয়ার আবেদনের পিছনে কোনও যুক্তি দেখতে পায়নি বলে জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সত্য প্রতিষ্ঠিত হবেই, ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে এই ভরসা দেওয়াটা জরুরি। সেদিনের অত্যাচার, নির্যাতনের রেশ আজও অনুভব করা যায়।
সাজা ঘোষণার পরই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান সজ্জন।