মু্ম্বই: মহারাষ্ট্র দিবসে বিজেপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঞ্জয় দত্তের হাজিরা ঘিরে জোর জল্পনা, কৌতূহল। কংগ্রেসের এমপি ছিলেন তাঁর বাবা প্রয়াত সুনীল দত্ত। বোন প্রিয়া দত্তও কংগ্রেসের সাংসদ। বরাবর কংগ্রেস সমর্থক বলে পরিচিত পরিবারের সদস্য কি তাহলে বিজেপি-র দিকে ঝুঁকছেন, এই প্রশ্ন নিয়েই চর্চা রয়েছে।


 

গতকাল শহরতলি দিনদোসির যে অনুষ্ঠানে মু্ন্নাভাইকে দেখা গিয়েছে, তার উদ্যোক্তা বিজেপির যুব শাখার নেতা মোহিত কম্বোজ। সেখানে সঞ্জয় ও বাকিরা মোহিতকে পরের বিধানসভা নির্বাচনে মোহিতকে জয়ী করার ডাক দেন। ফিল্মি কায়দায় মাথায় মারাঠি পাগড়ি চাপিয়ে সঞ্জয় বন্ধু মোহিতের জন্য যা দরকার, সব করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

১৯৯৩-র সিরিয়াল বিস্ফোরণ মামলায় জেল থেকে পাকাপাকি ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে আসার পর থেকে নিজেকে খানিকটা গুটিয়েই রেখেছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু গতকালের অনুষ্ঠানে এসে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এলেন।

 

পরিহাসের ব্যাপার হল, বিজেপিই কিন্তু তাঁর পুনের ইয়েরওয়াড়া জেলে থাকাকালে ঘনঘন প্যারোল, ফরলোয় ছুটি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সে কথা মাথায় রেখেই সঞ্জয়কে খোঁচা দিতে শুরু করেছে কংগ্রেস। সঞ্জয়কে দলীয় অনুষ্ঠানে ডাকায় স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা বিজেপিকেও টার্গেট করেছেন। তাঁর বক্তব্য, দেশ-বিরোধিতার দারুণ নজির। গেরুয়া দলটির কাছে এ অবশ্য নতুন কিছু নয়। মুম্বই কংগ্রেসের মুখপাত্র নিজামুদ্দিন রাইনের কথায়, কিছু আকস্মিক নয়। এ ধরনের লোকজনের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া ওদের ডিএনএ-তে রয়েছে। একদিন এটা হওয়ারই ছিল।

তবে মোহিত বলেছেন, সঞ্জয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। ওকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভেবেছিলাম। দলের নেতারাও সায় দিয়েছেন। মহারাষ্ট্র দিবসের অনুষ্ঠানে ডেকেছি ওকে, অন্যায়টা কী হয়েছে! মুম্বই বিজেপি প্রধান আশিস সেলারও বলেছেন, এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা অর্থহীন।

প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের রাজনীতিতে নামার বাসনা হয়ত এককালে ছিল। কিছুদিন শিবসেনার সঙ্গে মাখামাখি হয়েছিল। তারপর ২০০৯ সালে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে। তবে দু বছর বাদেই সেই দল ছাড়েন।