মুম্বই: এবার গোয়াতেও রাজনৈতিক পালাবদল নিয়ে সুর চড়ালেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক সমীকরণ আমূল বদলে দিয়ে সদ্য বিজেপির হাত সঙ্গ ত্যাগ করে এতদিনকার প্রতিদ্বন্দ্বী এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছে শিবসেনা। এবার বিজেপি শাসিত গোয়াতেও ‘অভাবনীয়’ সম্ভাব্য রাজনৈতিক মোড় বদলের পূর্বাভাস দিলেন রাউত। তাঁর দাবি, 'গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি সভাপতি বিজয় সরদেশাই সহ অন্তত চার বিধায়ক শিবসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। গোয়াতে কংগ্রেস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে একটি পৃথক জোট গঠনের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। গোয়াতে শীঘ্রই অভাবনীয় কিছু ঘটার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী'।
তাত্পর্য্যপূর্ণ বিষয় হল যে, সরদেশাই বারেবারেই বলেছেন যে, তাঁদের দল গোয়ায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের বিরোধী এবং তারা সর্বভারতীয় জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গেই থাকবে। চলতি বছরের মার্চে মনোহর পর্রীকরের মৃত্যুর পর প্রমোদ সবন্ত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন।এরপরই সরদেশাইকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়।
কংগ্রেস অবশ্য গোয়াতে বিজেপি বিরোধী জোট গঠন নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নয়। গোয়া কংগ্রেসের মুখপাত্র ট্রাজানো ডিমেলো বলেছেন, ‘আপাতত রাজ্যে কোনও জোট নেই।পরিষদীয় জোট বা রাজনেতিক জোট, কোনটার কথা বলছেন তিনি?’
ডিমেলো বলেছেন, সরদেশাইয়ের গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি অন্যতম এক রাজনৈতিক পক্ষ, যারা গোয়ার মানুষের ওপর একটা ‘অবৈধ সরকার’ চাপিয়ে দিতে সাহায্য করেছিল। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপিকে সরকার গড়তে সাহায্য করেছিল সরদেশাইয়ের দল।
ডিমেলোর দাবি, ‘আজ হোক বা কাল, এই সরকার ভেঙে যেতে বাধ্য। কারণ, এই সরকার অবৈধ উপায়ে গড়ে উঠেছে’।
২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার লড়াই করে বিজেপি বিরোধী অবস্থান নিয়ে তিনটি আসন পেয়েছেন গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। ৪০ সদস্যের বিধানসভায় শিবসেনা একটি আসনও পায়নি।
একাধিক দলত্যাগের কারণে বিজেপির বর্তমানে বিধায়ক সংখ্যা ২৭। এছাড়াও রয়েছে তিন নির্দলের সমর্থন। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে ১৭ আসন জিতেছিল কংগ্রেস। এখন কমতে কমতে দাঁড়িয়েছে পাঁচ। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির তিন ও মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির রয়েছে একজন করে বিধায়ক।