নয়াদিল্লি: মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বেআইনিভাবে ছাত্রভর্তি মামলায় কড়া হল সুপ্রিম কোর্ট। লখনউয়ের এমনই একটি কলেজকে ১৫০ ছাত্রছাত্রীর প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। ছাত্রভর্তির অনুমতি দেওয়ার জন্য শীর্ষ আদালত এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের তীব্র সমালোচনা করেছে।


আদালত বলেছে, অল্পবয়সি ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ার নিয়ে ছেলেখেলা করার জন্য ওই কলেজকে প্রত্যেক পড়ুয়াকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অ্যাডমিশন ফির পুরো টাকাটাই পড়ুয়াদের ফেরত দিতে হবে, এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রিতে দিতে হবে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ওই কলেজের ছাত্রভর্তি প্রক্রিয়ায় তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

মামলার শুনানিতে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বলে, ওই কলেজের কোনও সরকারি অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাদের ছাত্রভর্তির অনুমতি দেয়। কলেজে যে পরিকাঠামোগত সুযোগসুবিধে ছিল না তা তারা ধর্তব্যের মধ্যে আনেনি। এছাড়া এ ব্যাপারে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাও অবহেলা করে তারা।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চের কার্যত নজিরবিহীন সমালোচনা করে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বলেছে, এই মামলা বিচারবিভাগীয় বিশৃঙ্খলা ও অবৈধতার উদাহরণ। যেভাবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিয়েছে তার যৌক্তিকতা বোঝা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছে তারা।

অল্পদিন আগে আই এম কুদ্দুসি নামে ওড়িশা হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অভিযোগ, একটি ট্রাস্ট পরিচালিত বিশেষ একটি কলেজের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন তিনি। ওই বিচারপতি আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টেও ছিলেন।