নয়াদিল্লি: সেবি-সহারা রিফান্ড অ্যাকাউন্টে ৭ সেপ্টেম্বরের ভিতর ১৫০০ কোটি টাকা জমা দিতে সুব্রত রায়কে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পুরো টাকা ফেরানোর জন্য আরও ১৮ মাস সময় চেয়েছিলেন সহারা কর্তা। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, আগে ১৫০০ কোটি উনি জমা দিন, তারপর তাঁর আর্জি খতিয়ে দেখা হবে।


সহারা কর্তার কৌঁসুলি কপিল সিব্বল মঙ্গলবার বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের ৩ বিচারপতির বেঞ্চকে জানান, সহারা প্রধানের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে রিফান্ড অ্যাকাউন্টে ৫৫২.২১ কোটি টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল, তবে তিনি ২৪৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি ৩০৫.২১ কোটি টাকা ১২ আগস্টের মধ্যেই জমা পড়ে যাবে।

তবে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সহারাকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যে ১৫০০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে, তার মধ্যে যেন ওই বকেয়া ৩০৫.২১ কোটি টাকাও থাকে।
১০ অক্টোবর পর্যন্ত সুব্রত রায়ের প্যারোলের মেয়াদ বাড়িয়েছে শীর্ষ আদালত।

এদিকে অ্যাম্বে ভ্যালিতে সহারার ৩৪ হাজার কোটি টাকা মূল্য়ের সম্পত্তির নিলাম সংক্রান্ত বিক্রির নোটিস দেওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে আজ বম্বে হাইকোর্টের সরকারি লিক্যুইডেটরকে নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। নিলাম প্রক্রিয়া ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখার কথা বলেছিলেন সিব্বল। কিন্তু রাজি হয়নি বেঞ্চ। এ ব্যাপারে পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর।

গত ৫ জুলাই সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, সহারা কর্তা সেবি-সহারা খাতে ৭১০.২২ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন বটে, কিন্তু তাঁর ৫৫২.২১ কোটি টাকার চেকটি যেন ১৫ জুলাইয়ের সময়সীমার মধ্যে ভাঙিয়ে ফেলা যায়। সহারা প্রধান আগে আদালতকে বলেছিলেন, তিনি ১৫ জুন বা তার আগে ১৫০০ কোটি টাকা দেবেন, আর তার ঠিক এক মাস বাদে দেবেন ৫৫২.২২ কোটি।

প্রায় ২ বছর জেল খেটেছেন তিনি, গত বছরের ৬ মে থেকে প্যারোলে রয়েছেন। মায়ের শেষকৃত্যে থাকার জন্য প্রথম তাঁর প্যারোল মঞ্জুর হয়। তারপর থেকে প্যারোলের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আদালতের ২০১২-র ৩১ আগস্টের নির্দেশ মতো বিনিয়োগকারীদের ২৪ হাজার কোটি টাকা ফেরত্ না দেওয়ায় সুব্রত রায়ের পাশাপাশি আরও দুই ডিরেক্টর রবিশংকর দুবে ও অশোক রায়চৌধুরিকে গ্রেফতার করা হয়। কোম্পানির আরেক ডিরেক্টর বন্দনা ভার্গবকে অবশ্য হেফাজতে নেয়নি পুলিশ।