নয়াদিল্লি: শশীকলাকে নিরাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। গতকালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চার বছরের কারাবাসের সাজা হওয়ার পর তিনি আত্মসমর্পণের জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন আজ। তবে সেই আর্জি মানল না শীর্ষ আদালত। বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষের বেঞ্চ বলে, দুঃখিত, এ ব্যাপারে আমরা কোনও নির্দেশ দিতে চাই না। রায়েই যা বলার বলে দেওয়া হয়েছে। তাতে কোনও বদল হচ্ছে না। গতকালের রায়েই স্পষ্ট  করে দেওয়া হয়েছে যে, তাঁকে কালবিলম্ব না করে এখনই আত্মসমর্পণ করতে হবে, বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। সর্বোচ্চ আদালতের বক্তব্য শোনার পরই আত্মসমর্পণ করতে বেঙ্গালুরু রওনা হয়েছেন শশীকলা।


শশীকলার আইনজীবী কেটিএস তুলসী তাঁর মক্কেলের আরও সময়ের আর্জির সমর্থনে সওয়াল করেন, মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার রায় খারিজ হয়ে গেলে আদালত সাধারণত দোষী ব্যক্তিকে কিছুটা সময় দেয় যাতে তিনি নিজের গুরুত্বপূর্ণ  বিষয়গুলি সামলে নিতে পারেন। কিন্তু তুলসীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে গতকালের রায় বেরনোর পর রাতে রিসর্ট থেকে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার পোয়েজ গার্ডেনের বাসভবনে ফিরে শশীকলা সমর্থক, অনুগামীদের ভরসা দিয়ে বলেন, তাঁরা যেন কাউকে ভয় না পান। তিনি যেখানেই থাকুন, তাঁদের কথা মাথায় রাখবেন।

গতকালই প্রয়াত জয়ললিতার বেআইনি সম্পত্তি, দুর্নীতি মামলায় সহ অভিযুক্ত হিসাবে তাঁকে, তাঁর দুই আত্মীয়কে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের কারাবাসের সাজা দেয়  সুপ্রিম কোর্ট। ১০ কোটি টাকা জরিমানাও হয়েছে  শশীকলার। জেল খেটে বেরনোর পরও ৬  বছর শশীকলা কোনও ভোটেও প্রার্থী হতে পারবেন না। ফলে অন্তত ১০ বছর  ভোট রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে থাকতে হবে তাঁকে। ফলে নিজেকে প্রয়াত আম্মার প্রকৃত উত্তরাধিকারী বলে দাবি করে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরুর স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছে।