নয়াদিল্লি: রোহিঙ্গা মুসলিমদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর তকমা দিয়ে দেশের নিরাপত্তার পক্ষে তারা ভয়াবহ বিপদ হয়ে উঠতে পারে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়ে দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।


শীর্ষ আদালত আজ বলেছে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়টি বিরাট গুরুত্বের এবং সরকার, রাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।

২১ নভেম্বর শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত, তবে পিটিশনাররা তেমন জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের কাছে আসতে পারেন বলেও একইসঙ্গে জানিয়েছে।

প্রায় তিন মাস আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসবাদীরা এ দেশে নাশকতা ছড়াতে কাজে লাগাতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়ে বলা হয়েছিল, ওরা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী। গত জুলাইয়ে কেন্দ্র সব রাজ্য সরকারকে জেলা স্তরে টাস্ক ফোর্স গড়তে বলে যাতে এ দেশে বেআইনিভাবে থাকা বিদেশিদের চিহ্নিত করে বের করে দেওয়া যায়।

গত ৯ আগস্ট সরকার সংসদে জানায়, তাদের হাতে আসা পরিসংখ্যানে প্রকাশ, ভারতে আছে ১৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা যারা রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থায় নথিভুক্ত হয়েছে, যদিও বেসরকারি মতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা ঠাঁই নিয়েছে ভারতে। মূলত জম্মু, হায়দরাবাদ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি-এনসিআরও রাজস্থানে বসবাস করছে এরা।

সু্প্রিম কোর্ট রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যত ঠেকিয়ে দিল আজকের বক্তব্যে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ