নয়াদিল্লি: সহারা, বিড়লাদের বিরুদ্ধে ২০১৩-২০১৪ সালের আয়কর হানার জেরে নরেন্দ্র মোদী সহ বেশ কয়েকজন রাজনীতিকের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠায় 'কমন কজ' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে ওই অভিযানের সিট তদন্ত চেয়ে যে পিটিশন দিয়েছিল, তা খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। এনজিও-টির দাবি, দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন মোদী। তার তদন্ত চাই। নতুন করে হলফনামা দেয় এনজিও-টি। নথিপত্রও পেশ করে। কিন্তু তা থেকে স্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসা যায় না বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। বলেছে, রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার মতো কিছুই মেলেনি।


সম্প্রতি সহারা, বিড়লা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওই আয়কর হানার প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন রাহুল গাঁধী, অরবিন্দ কেজরীবালরা। এদিনের শীর্ষ আদালতের রায়ে তাঁরা ধাক্কা খেলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।


ঘুষের লেনদেনের অভিযোগের স্বপক্ষে বারবার এনজিও-টিকে বিশ্বাসযোগ্য নথি, তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে বলেছে শীর্ষ আদালত। গত সপ্তাহে তারা হলফনামার সংযোজন হিসাবে কয়েকটি ই-মেল সহ একাধিক নথিপত্রও জমা দেয়। তাদের দাবি, ওগুলি সব আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীতে সিবিআই হানা ও সহারা গোষ্ঠীর কার্যালয়ে আয়কর হানা ও তার পরবর্তী তদন্ত সংক্রান্ত।  কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।


গত মাসেই বিচারপতি কেহরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কমন কজ ও তার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে প্রশ্ন করেছিল, যথেষ্ট জোরদার নথি, তথ্যপ্রমাণ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তোলা যায় কি? তাদের পেশ করা জনস্বার্থ পিটিশনের কোনও সারবত্তা নেই, শুধুমাত্র অভিযোগই তোলা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রশান্ত ভূষণকে শুধু মজবুত তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল যাতে আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে পারে।