নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধর্ষণের শিকার ১০ বছরের মেয়ের গর্ভপাতের আর্জি খারিজ হয়ে গেল। ৩২ সপ্তাহ মেয়েটির ভ্রুণের বয়স হয়েছিল।

এই অবস্থায় গর্ভপাত করানো মেয়েটি বা তার ভ্রুণ, কারও পক্ষে ভাল নয় বলে মেয়েটিকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেয় মেডিকেল বোর্ড। সেই পর্যবেক্ষণ মাথায় রেখেই প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ গর্ভপাতের আবেদন নাকচ করে দিল।

প্রসঙ্গত, চলতি গর্ভপাত সংক্রান্ত আইনে গর্ভস্থ ভ্রুণের বয়স ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাতের সম্মতি দেয় আদালত। যদিও গর্ভস্থ ভ্রুণের জিনগত ত্রুটি দেখা গেলে তারপরও ব্যতিক্রম ঘটিয়ে গর্ভপাতের অনুমোদন পাওয়া যায়।

ধর্ষিতা কিশোরীকে পরীক্ষা করতে, গর্ভপাত করালে তার কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, খতিয়ে দেখার জন্য চন্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ মেডিকেল বোর্ড গঠন করে।

বেঞ্চ বোর্ডের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে মেয়েটিকে যে ধরনের চিকিত্সা, সেবা, যত্ন দেওয়া হচ্ছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করে তার গর্ভস্থ ভ্রুণ নষ্ট করে ফেলার আবেদন বাতিল করে দেয়।

মেয়েটি ২৬ সপ্তাহের গর্ভবতী বলে নিশ্চিত হওয়ার পর গর্ভপাতের আর্জি গত ১৮ জুলাই খারিজ করে দেয় চন্ডীগড়ের জেলা আদালত। তারপর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে সে।

এদিন বেঞ্চ শুনানির সময় হাজির থাকা সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমারকে বলে, দিনদিন বেশি বেশি করে গর্ভপাতের আবেদন তাদের কাছে আসছে। সুতরাং আগেভাগেই গর্ভপাতের সম্ভাবনার ব্যাপারে চটজলদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রতিটি রাজ্যে মেডিকেল বোর্ড গড়া যায় কিনা, বিবেচনা করে দেখুক কেন্দ্র।

ওই কিশোরীর গর্ভপাতের আবেদন করেন আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব। তিনি পিটিশনে বলেন, ধর্ষণে সন্তানসম্ভবা অল্পবয়সি মেয়েদের মতো বিরল ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব সবচেয়ে ভাল চিকিত্সা ব্যবস্থায় আগেভাগে গর্ভপাতের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় স্থায়ী মেডিকেল বোর্ড গড়তে যথাযথ গাইডলাইন বেঁধে দিক সর্বোচ্চ আদালত।