নয়াদিল্লি: ৯২ বছর বয়সেও ‘অনার কিলিং’-এর মামলায় যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা খাটতে জেলে যেতেই হচ্ছে এক ব্যক্তিকে।


১৯৮২ সালে ২৮ মে এই মামলায় ফেক্কা, স্নেহি ও পুট্টি নামে তিনজনকে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় দোষী ঘোষিত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। তিনজনই এই রায়ের বিরুদ্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলা চলতে চলতেই ফেক্কা ও স্নেহি মারা যান। দীর্ঘ প্রায় ৩৪ বছর বাদে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ এবছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুট্টিকে দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পুট্টি। তাঁর যুক্তি, তাঁর বয়সের কথা মাথায় না রেখে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘ভুল’ রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। তিনি স্বাস্থ্য ও বয়সের কারণ দেখিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করা থেকে অব্যাহতি চান। তিনি ‘শয্যাশায়ী’ বলেও দাবি করেন। কিন্তু বিচারপতি আদর্শ কুমার গোয়েল এবং এল নাগেশ্বর রাও-এর অবসরকালীন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয়। ফলে পুট্টিকে জেলে যেতেই হচ্ছে।

ঘটনা হল, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা পুট্টি দুই ভাই ফেক্কা ও স্নেহিও এই একই মামলায় অপরাধী। ফেক্কার মেয়েকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নানহাক্কু নামে জনৈক ব্যক্তি। পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এবং বিদ্বেষ থেকে নানহাক্কুকে খুন করে তারা।