নয়াদিল্লি: করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। প্রভাব পড়েছে ভারতের জনজীবনেও। রাজ্যে রাজ্যে শুরু হয়েছে লকডাউন। অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে বেনজির পথে হাঁটল সুপ্রিম কোর্টও। দেশের বিভিন্ন সংশোধনাগারে কয়েদিদের ভিড়। করোনা ঠেকাতে যেখানে জমায়েত বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে, সেখানে সংশোধনাগারে উল্টো ছবি। যা নিয়ে বন্দিদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অসন্তোষ। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রত্যেক রাজ্যকে একটি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে। যে কমিটিতে রাখতে হবে আইন মন্ত্রকের সচিব, রাজ্যের আইনি পরিষেবা সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যানকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, বিচারাধীন বন্দি ও সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে কাদের অন্তর্বর্তী জামিন অথবা প্যারোলে ছাড়া যেতে পারে, সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেই কমিটিকে।

করোনা সংক্রমণ রুখতে গৃহবন্দি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরাও।  বাকি সংস্থাগুলির মত এবার আইনজীবীদেরও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আদালতে সশরীরে হাজির হবেন না আইনজীবীরা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি হবে বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ঘরে বসেই চলবে সওয়াল-জবাবের পালা। দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার। এমনই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। দেশের শীর্ষ আদালতের তালিকায় রয়েছে অনেকগুলি অমীমাংসিত মামলা। সেই সমস্ত মামলাগুলির শুনানি চলবে শুধুমাত্র ভিডিও কনফারেন্সে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ মামলারই শুনানি চলবে।

পাশাপাশি মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাম্পাসে থাকা আইনজীবীদের চেম্বারও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে ওই চেম্বার থেকে আইনজীবীদের নিজেদের ফাইল এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে প্রবেশ নিষেধ।

এর আগে সর্বোচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল যে, শুনানির সময় এজলাসে সংশ্লিষ্ট মামলার আইনজীবী ছাড়া অন্য কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না। এ বার তার থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সওয়াল-জবাব চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।