নয়াদিল্লি: ফোনের মাধ্যমে তালাক দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এক মুসলিম মহিলা। এবার এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের  মতামত জানতে চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।


অভিযোগ, ইশরত জহান নামে কলকাতা-নিবাসী ২৬ বছরের ওই মহিলাকে দুবাই থেকে ফোনে তিন-তালাক দেন তাঁর স্বামী। মহিলা শীর্ষ আদালতে আবেদন করে জানান, ১৯৩৭ সালের মুসলিম পার্সোনাল ল (শরিয়া আইন)-এর ২ নম্বর ধারাটি অসাংবিধানিক। কারণ তা সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারা (সমতা), ১৫ (বৈষম্যহীনতা), ২১ (জীবন) এবং ২৫ (ধর্ম) লঙ্ঘন করছে।

তাঁর দাবি, তিন তালাক (তালাক-এ-বিদাত) কখনও বিবাহবিচ্ছেদের বৈধ উপায় হতে পারে না। তিনি একইসঙ্গে বহুবিবাহ রীতি এবং নিকাহ হালাল-কেও চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে।

মহিলা জানান, তালাক দেওয়ার পর, শ্বশুরবাড়িতে তাঁর জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কারণ, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এমনকী, তাঁর সন্তানদেরকেও তাঁর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন তারা কোথায় আছে তিনি জানেন না। এমনকী পুলিশও তাঁকে সাহায্য করছে না।

এই প্রসঙ্গে এদিন প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর, বিচারপতি এ এম খানুইলকর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ মতামত চেয়ে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রককে নোটিস পাঠিয়েছে।

তিন-তালাক প্রথার সমর্থনে সওয়াল করেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড এবং জমিয়ত-এ-উলেমা। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর।