বেঙ্গালুরু: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বেঙ্গালুরুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ১০,০০০ দলিত সরকারি কর্মীর ভাগ্য। কর্নাটকে সংরক্ষণের মাধ্যমে চাকরিতে পদোন্নতি বেআইনি ঘোষণা করেছে শীর্ষ আদালত। বেজায় বেকায়দায় পড়া রাজ্যের কংগ্রেস সরকার এখন এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার কথা ভাবছে।


তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত সরকারি কর্মীদের জন্য সংরক্ষণের মাধ্যমে পদোন্নতি করেছিল সিদ্দারামাইয়া সরকার। ৯ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে। জানিয়ে দিয়েছে, ৩ মাসের মধ্যে ওই কর্মীদের পুরনো পদে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারে রাজ্য।

সামনের বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কর্নাটক কংগ্রেসের কপালে ভাঁজ। এক মন্ত্রী উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন, যদি পদোন্নতি হওয়া সরকারি কর্মীদের সত্যিই পদাবনতি ঘটাতে হয়, তাহলে দল দলিত বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। আবার যদি সরকার ওই কর্মীদের পদোন্নতির সিদ্ধান্তে অনড় থেকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাহলে উচ্চবর্ণ ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণি সেটা ভাল চোখে দেখবে না।

রাজ্যের আইনমন্ত্রী টি বি জয়াচন্দ্র জানিয়েছেন, অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাঁর মত নিয়ে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কর্নাটকে বহু তফশিলি জাতি ও উপজাতি ভুক্ত সরকারি কর্মী রয়েছেন, শুধু সংরক্ষণের সুযোগেই বহুদিন ধরে একের পর এক প্রমোশন পেয়েছেন যাঁরা। আবার উচ্চবর্ণ ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির বহু কর্মী বছরের পর বছর ধরে প্রমোশনের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাঁরা তাঁদের প্রাপ্য পেতে পারেন।

কর্নাটক রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ কর্মীর পদাবনতি হতে পারে কারণ ৬৫টি সরকারি দফতরের প্রতিটিতে ১৮ শতাংশ পদ এঁদের জন্য সংরক্ষিত। যদি ধরা হয়, ৫.১৫ লাখ কর্মীর মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ এই প্রমোশনের সুযোগ পেয়েছেন, তাতেও হাজারো কর্মীর পদাবনতি হওয়ার আশঙ্কা। কিন্তু সংগঠন জানিয়ে দিয়েছে, এই কর্মীদের জন্য আন্দোলনে যাবে না তারা কারণ সব সরকারি কর্মীর ভবিষ্যৎ নিয়েই তাদের চিন্তা রয়েছে।

তবে সংরক্ষণের সুবিধে পাওয়া কর্মীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, পদাবনতির সম্ভাবনা দেখা দিলে তাঁরা আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।