নয়াদিল্লি: দিল্লি সরকার ও লেফটেন্যান্ট জেনারেলের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়কে স্বাগত জানিয়ে পি চিদম্বরম বললেন, এটা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের পক্ষে নিরঙ্কুশ জয়। কেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল চমত্কার ট্র্যাক রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁর রাজনৈতিক প্রভুদের দ্বারা আইনের ব্যাপারে নিজেকে ভুল পথে চালিত হতে দিলেন?

দফায় দফায় ট্যুইট করেছেন চিদম্বরম। আদালতে দিল্লি সরকারের হয়ে লড়েছেন তিনি। আইনি যুদ্ধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভিতরে যিনিই দায়ী হোন না কেন, তাঁর সেই দায় নেওয়া উচিত। যদিও আদৌ তা কেউ করবে কিনা, সেই সংশয় প্রকাশ করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে আমি লেফটেন্যান্ট জেনারেল তেজিন্দর খান্না ও মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের সঙ্গে কাজ করেছি। কখনও সংঘাত, বিবাদ হয়নি। বর্তমান বিরোধ, বিতর্ক বিজেপি ও তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের তৈরি।




পাশাপাশি তিনি ট্যুইট করেছেন, এখন শান্তি মতো বিরোধ সমাধান করে দিয়েছে সাংবিধানিক আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ব্যাপক গুরুত্ব, তাত্পর্য্য রয়েছে পুদুচেরির ক্ষেত্রেও।










এক ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মতিক্রমে জানিয়েছে, দিল্লিকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া যাবে না, কিন্তু একইসঙ্গে লেফটেন্যান্ট জেনারেলের ক্ষমতাও ছেঁটে দিয়ে বলেছে, তাঁর একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও ক্ষমতা নেই, তাঁকে নির্বাচিত সরকারের পরামর্শ, সাহায্য নিয়েই চলতে হবে। আপ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে তিনি নাক গলাতে পারেন না।
২০১৪ সালে দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালের আপ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই তিক্ত চেহারা নিয়েছে, যার একদিকে বর্তমান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল বইজল, তাঁর পূর্বসূরী নাজিব জঙ্গ, আরেকদিকে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।





পাশাপাশি বামেরা বলল, সুপ্রিম কোর্টের রায় ফের দেখাল, নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা খর্ব করা চলবে না। সীতারাম ইয়েচুরি ট্যুইট করেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল, রাজ্যপালদের ভূমিকা, তাঁরা যে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, তা এদিনের রায়ে সামনে চলে এল। বিজেপি সহযোগিতামূলক ফেডারেলবাদের কথা মুখে বলে বাস্তবে আমাদের ফেডারেল কাঠামো ধ্বংস করছে, যা নিন্দনীয়। লেফটেন্যান্ট জেনারেল, রাজ্যপালরা একটি নির্বাচিত সরকারের অধিকার কেড়ে নিতে পারেন না।