আসারাম ও তাঁর ছেলে নারায়ণ সাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও জোরজবরদস্তি আটকে রাখা সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুরাতের দুই বোন।
আসারামের জামিনের আর্জি উড়িয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া বহাল থাকবে, গুজরাত হাইকোর্টের ২০১৫-র আদেশে ‘প্রাথমিক’ যে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিল, তাতে বিচার প্রভাবিত হবে না।
রাজস্থানে দায়ের হওয়া এক পৃথক মামলায় ৫ বছর আগে নিজের আশ্রমে এক কিশোরীকে ধর্ষণে গত বছর দোষী সাব্যস্ত হন আসারাম। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয় যোধপুরের এক আদালত। নিম্ন আদালতের দোষী ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।
এ বছর এপ্রিলে আসারাম পুত্রকেও আলাদা এক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। ২০১৩-য় এক প্রাক্তন মহিলা ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে সুরাতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। দুই বোনের একজন আসারামের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে দাবি করে, ২০০১ থেকে ২০০৬ এর মধ্যে আমদাবাদে তাঁর আশ্রমে থাকাকালে তাঁকে বারবার যৌন নিগ্রহ করেন তিনি। আবার রাজস্থানে দায়ের হওয়া মামলায় অভিযোগকারী কিশোরী দাবি করে, যোধপুরের কাছে মানাই গ্রামে তাঁর আশ্রমে থাকাকালে তাঁর ওপর যৌন নিগ্রহ চালান আসারাম। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা মেয়েটি ওই আশ্রমে থেকে পড়াশোনা করত।
২০১৩র ৩১ আগস্ট যোধপুর পুলিশ আসারামকে গ্রেফতার করে। সেই থেকে জেলেই দিন কাটছে তাঁর।